ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
আরও কমলো চালের দামটানা দুই সপ্তাহ ধরে চালের দাম কমছে। গত সপ্তাহে শুধু মোটা চালের দাম কমলেও এই সপ্তাহে নতুন করে কমেছে সব ধরনের চালের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চিকন চালের (মিনিকেট ও নাজির) দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ শতাংশের মতো। আর গত দুই সপ্তাহে মোটা চালের (স্বর্ণা, চায়না ও ইরি) দাম কমেছে কেজিতে ১১ টাকার মতো। এ প্রসঙ্গে মানিকনগর এলাকার চাল ব্যবসায়ী মোবারক উদ্দিন বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে মোটা চালের কেজি ৫৮ টাকায় উঠেছিল, সেই চাল এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকায়।সরকারের বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে মোটা চালের দাম কেজিতে কমেছে ৮ শতাংশের মতো। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় (ওএমএস) সারা দেশে খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে মোটা চালের বাজারে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের কেজিতে দাম কমেছে ১১ টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহ আগের ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া মোটা চাল (স্বর্ণা, চায়না ও ইরি) গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৫২ টাকা কেজি দরে। এই সপ্তাহে নতুন করে কেজিতে আরও পাঁচ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকা কেজি দরে।টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে যে চাল (চিকন) বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা কেজি দরে, এই সপ্তাহে সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। একইভাবে মাঝারি ধরনের অর্থাৎ লতা ও পাইজাম চাল দুই টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এই চালের দাম ছিল ৬৪ টাকা কেজি। আর ৫৪ টাকা কেজি দরের চাল এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।এদিকে খোলা ময়দা ও আটার দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা আটা এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে। এছাড়া গত সপ্তাহে ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা ময়দা এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে এবং ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা ময়দা এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা কেজি।এছাড়া প্যাকেট ময়দা আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।এদিকে মোটা চালের মতো গত দুই সপ্তাহ ধরে মসুর ডালের দামও কমছে। ১৩০ টাকা কেজি দরের ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ১০০ টাকা কেজি দরের যে মসুর ডাল পাওয়া যাচ্ছে, তার গত সপ্তাহে দাম ছিল ১০৫ টাকা। তবে ১৫০ টাকা কেজি দরের ডাল (ছোট দানার) ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দাম কমার তালিকায় রয়েছে আমদানি করা পেঁয়াজ। গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। তবে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে এক লিটার ও পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন বেড়ে হয়েছে ১৯৪ টাকা। গত সপ্তাহে এই সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১৯২ টাকা লিটার। ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৩৮৫ টাকা।এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারও বেড়েছে ডিমের দাম। ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ছিল ১২০ টাকা। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিমের হালি ছিল ৪০ টাকা। এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা হালি। ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুই-তিন দিন ধরে পাইকারিতে ডিমের দাম বাড়তি। এ কারণে ডিমের দাম বেড়ে গেছে।দাম বাড়ার তালিকা রয়েছে ব্রয়লার মুরগিও। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে।  ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি পাকিস্তানি সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা বিক্রি হয়।কিছু দিন আগে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচের কেজি এখন ৪০ টাকা। তবে অনেকেই এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ ১৫ টাকায় বিক্রি করছেন।এদিকে আগের মতো বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। গত সপ্তাহে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিম এখন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। শিমের দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর এবং বরবটির দাম। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। দামি এই সবজিগুলোর পাশাপাশি বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।মাছ বাজারে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইসমাইল হক (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার উত্তর কুট্টাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত ইসমাইল হক একই এলাকার সাজিদুর রহমানের ছেলে।সরাইল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকিয়া বেগম জানান, গতকাল রাত থেকে ইসমাইলের বসতঘরে বিদ্যুৎ সমস্যা করছিল। শুক্রবার সকালে ইসমাইল তার বাড়ির সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বাঁশ দিয়ে নিজ ঘরের লাইন সচল করার চেষ্টা করছিলেন। এসময় বৈদ্যুতিক খুঁটির মেইন লাইন থেকে তার ছিঁড়ে ইসমাইলের শরীরে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, আমরা ঘটনার খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।৮ মাসে ৩৬৪ শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে (৮ মাস) দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। তারা জানায়, গত আট মাসে আত্মহননকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯৪ শতাংশ স্কুলগামী শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ৩২ দশমিক ৯৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৬৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী। আর চলতি বছরে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৪৫ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।‘বেড়েই চলেছে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার: আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া কতটা জরুরি?’ শিরোনামে সমীক্ষা তুলে ধরা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ জেলার এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি ডিভিশন) আজিজুল হক মামুন এবং আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। আঁচল ফাউন্ডেশনের পক্ষে আত্মহত্যার তথ্য তুলে ধরেন ফারজানা আক্তার লাবনী।সংবাদ সম্মেলন উত্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আট মাসে আত্মহননকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ জন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে পুরুষ শিক্ষার্থী ৬০ শতাংশ এবং নারী শিক্ষার্থী ৪০ শতাংশ।কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে ৭৬ জন আত্মহত্যা করে। এরমধ্যে ৪৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী।সবচেয়ে বেশি ১৯৪ শতাংশ স্কুলগামী শিক্ষার্থী গত আট মাসে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২ দশমিক ৯৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৬৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী।মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন ৪৪ জন। এদের মধ্যে ৩৯ দশমিক ২৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৬০ দশমিক নারী শিক্ষার্থী।বিভাগভিত্তিক তথ্যআত্মহত্যাকারীদের অবস্থান বিবেচনায় সবার শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। গত আট মাসে আত্মহননকারীদের মধ্যে ২৫ দশমিক ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ঢাকায় আত্মহত্যা করেন। এই হার চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং খুলনা বিভাগে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ।রংপুর বিভাগে আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থী রয়েছেন ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এছাড়া বরিশাল বিভাগে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং রাজশাহী বিভাগে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আর সিলেট বিভাগে তুলনামূলক কম শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, ৪ শতাংশ।আত্মহত্যায় স্কুলগামীরা এগিয়েশিক্ষাস্তর বিবেচনায়, বিদ্যালয়গামী প্রাইমারি থেকে মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন ৫৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। আত্মহত্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কলেজের শিক্ষার্থী, ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থী রয়েছে ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আত্মহননকারীদের মধ্যে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শতকরা ১২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।নারীরা বেশি আত্মহত্যা করেছেতথ্যানুসারে দেখা যায়, আত্মহত্যা বেশি করেছেন নারী শিক্ষার্থীরা, যা মোট সংখ্যার ৬০ দশমিক ৭১ শতাংশ বা ২২১ জন। অন্যদিকে পুরুষ শিক্ষার্থী রয়েছেন ৩৯ দশমিক ২৯ শতাংশ বা ১৪৩ জন।বয়সভিত্তিক আত্মহত্যার হার১৩ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সর্বাধিক, ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ২১ থেকে ২৬ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ অর্থাৎ ২৯ জন আত্মহত্যা করেছেন।  তবে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছে ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী ১৬০ জন। সর্বনিম্ন সাত বছরের একটি শিশুও আত্মহত্যা করেছে।প্রেমঘটিত কারণ সবচেয়ে বেশি দায়ীআত্মহত্যার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অভিমান, প্রেমঘটিত কারণ, সেশনজট, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, পড়াশোনার চাপ, পরিবার থেকে কিছু চেয়ে না পাওয়া, পারিবারিক কলহ, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি, চুরি বা মিথ্যা অপবাদ, মানসিক সমস্যা, বিয়েতে প্রত্যাখ্যাত, স্বামী পছন্দ না হওয়া, বাসা থেকে মোটরবাইক কিনে না দেওয়া ইত্যাদি। আরও রয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীনতা, বিষণ্ণতা, বন্ধুর মৃত্যু, আর্থিক সমস্যা।বলা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছে ২৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, অভিমান করে ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। পরিবারের সঙ্গে চাওয়া পাওয়ার অমিল হওয়ায় ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং পারিবারিক কলহের কারণে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ আত্মহত্যা করেছেন।আঁচল ফাউন্ডেশনের সমীক্ষায় আরও দাবি করা হচ্ছে, ধর্ষণ বা যৌন হয়রানির কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। মানসিক সমস্যার কারণে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। পড়াশোনার চাপে শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ, সেশনজটের কারণে হতাশায় শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ এবং পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ১ দশমিক ৯২ শতাংশ আত্মহত্যা করেছে। মিথ্যা চুরির অপবাদে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আর্থিক সমস্যায় ১ দশমিক ৯২ শতাংশ, বন্ধুর মৃত্যুতে শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এবং স্বামী পছন্দ না হওয়ায় ১ দশমিক ১০ শতাংশ। তবে ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশের আত্মহননের কারণ জানা যায়নি।আত্মহত্যার ভিন্ন কিছু দিকের মধ্যে রয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সাইবারক্রাইম, আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলের শিকার।শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধ ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রস্তাবনা১) আত্মহত্যা মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন।২) পাঠ্যপুস্তকে মানসিক শিক্ষাকে এবং মনের যত্নের কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা।৩) স্কুল-কলেজের অভিভাবক সমাবেশের আলোচিত সূচিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্মহত্যা সম্পর্কিত এজেন্ডা রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রদান।৪) মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা।৫) প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রদান।৬) সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা৭) মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা।৮) হতাশা, আপত্তিকর ছবি, আত্মহত্যার লাইভ স্ট্রিমিং, জীবননাশের পোস্ট ইত্যাদি চিহ্নিত করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ টুলস ব্যবহার করা।৯) আত্মহত্যার ঘটনায় পরিবার ও পরিচিতজনদের দায় অনুসন্ধানে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকা।১০) মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দ্রুত ও সহজলভ্য করতে একটি টোল-ফ্রি জাতীয় হটলাইন নম্বর চালু করা।‘প্রতি উপজেলা থেকে অন্তত ১ হাজার মানুষকে বিদেশে পাঠাবে সরকার’প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে, প্রত্যেকটি উপজেলা থেকে অন্তত ১ হাজার মানুষকে বিদেশে পাঠানোর। এছাড়া প্রত্যেকটি উপজেলায় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা করারও অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের। এর ফলে প্রবাসীরা সহজেই তাদের কষ্টার্জিত অর্থ নিরাপদে নিজেদের পরিবারের কাছে পাঠাতে পারবেন।’শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ১০১তম শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘টাকা খরচ করেও বিদেশে গিয়ে বিপদের মধ্যে রয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। বিশেষ করে দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট করলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই সরকারিভাবে এবং নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট তৈরি করাই বুদ্ধিমানের কাজ।’ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল ও ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সহধর্মিণী ড. নাসরীন আহমদ, গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।অতি প্রিয় বালমোরাল প্রাসাদেই রানির শেষ নিঃশ্বাসডি নদীর পাশ ঘেঁষে থাকা থাকা বালমোরালের রাজপ্রাসাদের প্রতি রানির ভালোবাসা ছিল সুবিদিত।আবেরদিনশায়ারে অবস্থিত ৫০ হাজার একরবিশিষ্ট বিশাল এই বাড়িতেই এলিজাবেথ তার বেশিরভাগ গ্রীষ্মকাল কাটিয়েছেন, অধিকাংশ সময়ই তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী ফিলিপ ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।শিশুকালে দাদা রাজা পঞ্চম জর্জ ও দাদি রানি মেরির সঙ্গে দেখা করা থেকে শুরু করে জীবনের শেষ মাসগুলোসহ রানির জীবনের আনন্দময় অনেক ছুটিই গ্রামাঞ্চলবেষ্টিত এই বালমোরালে প্রাসাদে কেটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।এই প্রাসাদেই অসংখ্য রাজকীয় গার্ডেন পার্টি আয়োজন করেছেন ৭ দশক ধরে রাজ করে যাওয়া ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী; রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দেখেছেন ব্রিমার হাইল্যান্ড গেইমসও।প্রিন্স ফিলিপের শেষ বছরগুলোতে বালমোরাল প্রাসাদেই স্বামীর সান্নিধ্যে কাটিয়েছেন তিনি; লকডাউনের সময় এবং ২০২০ সালের নভেম্বরে নিজেদের ৭৩তম বিবাহবার্ষিকীও এখানেই পালন করেছেন তারা।১৮৫২ সালে ফারকুহারসন পরিবারের কাছ থেকে রানি ভিক্টোরিয়ার স্বামী প্রিন্স আলবার্ট প্রাসাদটি কিনে নেওয়ার পর থেকে বালমোরাল ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম বাসস্থান হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। কেনার সময় আদি প্রাসাদটি বেশ ছোটই ছিল, পরে সেখানে বালমোরাল প্রাসাদ বানানোর কাজ শুরু হয়।এখনকার প্রাসাদটি স্কটিশ ব্যারোনিয়াল স্থাপত্যের নিদর্শন, এটি হিস্টোরিক এনভায়রনমেন্ট স্কটল্যান্ডের ‘ক্যাটাগরি এ’ তালিকার ভবন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।নতুন প্রাসাদটির নির্মাণকাজ ১৮৫৬ সালে শেষ হয়, এর কিছুদিনের মধ্যেই পুরনো প্রাসাদটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।প্রাসাদটি রানির ব্যক্তিগত সম্পদ, রাজপরিবারের সম্পদ নয়। এখানে বন ও কৃষিজমি আছে, আছে নানান প্রজাতির পশুপাখি।১৯৯৭ সালের ৩১ অগাস্ট প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর রাজপরিবার ওই প্রাসাদে একত্রিত হয়েছিল। ওই মৃত্যুর ঘটনার পর বেশ কিছুদিন প্রাসাদটি সাধারণ মানুষেরও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।কত সম্পদ রেখে গেলেন রানি?৯৬ বছরের জীবনে ৭০ বছরই সিংহাসনে থেকেছেন দ্বিতীয় রানি এলিজাবেথ। বহু কিছুর সাক্ষী তিনি। মালিক হয়েছেন অনেক অর্থকড়িরও। তবে উত্তরাধিকারী রাজা চার্লসের জন্য কী পরিমাণ সম্পদ রেখে গেছেন এই রানি, এ প্রশ্ন এখন অনেকের মনেই।সবমিলিয়ে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ওপর সম্পদের মালিক ছিলেন রানি এলিজাবেথ। এসবের মালিকানা পেয়েছেন চার্লস। রাজা চাইলে সেগুলো খরচ করতে পারেন, আবার এর সঙ্গে আরও সম্পদ যোগ করে বাড়াতে পারেন তার পরিমাণও।সংবাদমাধ্যম ফরচুন বলছে, রানির সম্পদের মালিকানা নিয়ে সহজ হিসাবের ব্যাপারটি মোটেও সহজ নয়।সার্বভৌম অনুদান নামে পরিচিত করদাতা তহবিলের মাধ্যমে আয়ের একটি বড় অংশ এসেছে রানির। ব্রিটিশ রাজপরিবারকে এর মাধ্যমে বার্ষিক অর্থ দেয়া হয়ে থাকে। রাজা তৃতীয় জর্জের করা একটি চুক্তির মাধ্যমে এই তহবিল গঠন করা হয়।পূর্বপুরুষদের তৈরি সাম্রাজ্যকে আগলে রেখেছিলেন রানি এলিজাবেথ। রাজতন্ত্রের অবসানের পরও রাজপরিবারের গুরুত্ব কমতে দেননি বিন্দুমাত্র। পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মূল্য কমপক্ষে ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।এলিজাবেথের মা মারা যাওয়ার পর ৮৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছিলেন তিনি। প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর পরও নাকি পেয়েছিলেন ১২ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়াও ক্রাউন এস্টেটের লভ্যাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পেতেন এলিজাবেথ। ওই এস্টেটের মূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার।মধ্যযুগ থেকে ল্যানচেস্টার এস্টেট রাজপরিবারের দখলে। ৩১৫টি বসতবাড়ি, বাণিজ্যিক সম্পদ এবং কৃষিজমি নিয়ে তৈরি এই এস্টেট থেকে কমপক্ষে ২০ মিলিয়ন করে আয় হয় বাকিংহাম প্যালেসের। এই টাকা ব্যবহার করেই নাকি বাকি সম্পত্তির যত্ন নিতেন রানি।এ ছাড়াও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বহু দামের আর্ট কালেকশন, গয়না রয়েছে তার। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করেছেন। যার মধ্যে বালমোরাল এবং স্যান্ডরিংহাম প্যালেস রয়েছে। এই সবকিছুই এখন পাবেন পাবেন রাজা চার্লস।শনিবার রাজমুকুট পরবেন চার্লসশনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের রাজমুকুট পরবেন রাজা তৃতীয় চার্লস। শুক্রবার বাকিংহাম প্রাসাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।বাকিংহাম প্রাসাদ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টায় অ্যাসেশন কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা তৃতীয় চার্লস। এই কাউন্সিল রাজকীয় উত্তরাধিকার মনোনয়নের বিষয়টি দেখভাল করে থাকে। বেলা ১১টার দিকে সেন্ট জেমস প্রাসাদের বারান্দা থেকে জনসম্মুখে শাসনভার হস্তান্তরের বিষয়টি ঘোষণা করবে কমিটি।বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এর আগে সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকার হিসেবে প্রিন্স চার্লসের নাম ঘোষণা করেছিলেন রানি। স্বাভাবিকভাবেই রানির মৃত্যুর পরপর ব্রিটেনের শাসনভার চার্লসের ওপর ন্যাস্ত হয়েছে।সাধ থাকলেও সাধ্য নেই ইলিশ কেনারপদ্মা-মেঘনায় ইলিশের ভরা মৌসুম এখন শেষের দিকে। এমন সময়ে সাধ থাকলেও ইলিশ কেনার সাধ্য নেই সাধারণ আয়ের মানুষের।এ বছর সাগর থেকে ধরা ইলিশ সাইজে অন্য বছরের তুলনায় অনেক বড়। যার একেকটির দাম দেড়-দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা। অর্থাৎ এক ইলিশের দাম দিয়ে কারো কারো পুরো মাসের মাছ, মুরগি ও সবজিসহ অন্যান্য খরচ মেটানো সম্ভব। চাঁদপুরে ইলিশের পাইকারি ও খচুরা বাজারে এমন পরিস্থিতিই চলছে।শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ইলিশের পাইকারি বাজার বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, বড় বড় ইলিশের স্তূপ। ছোট ইলিশে সংখ্যা খুবই কম। ৬০০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের কিছু ইলিশ আসছে মিনি ট্রাকে করে। জানা গেল, এসব ইলিশ নোয়াখালীর হাতিয়া অঞ্চলের।মাছঘাটের খান এন্টারপ্রাইজের খুচরা ইলিশ বিক্রেতা রবিন বাংলানিউজকে বলেন, সাগরের ইলিশই বিক্রি করেন তিনি। ৬০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৩০০ টাকায় এবং দেড় কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শহরের পুরান বাজার থেকে ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা শামছুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম কম হবে মনে করে এসেছি আড়তে। কিন্তু ছোট সাইজের ইলিশের কেজিও ৮০০ টাকা। সাধারণ আয়ের মানুষ হিসেবে ইলিশ কেনা সম্ভব নয়। কারণ নিত্যপণ্যের যে পরিমাণ দাম, ইলিশ কিনলে আর পকেটে টাকা থাকবে না। ইলিশ সাধের মাছ হলেও আমাদের কেনার সাধ্য নেই।আড়তগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পাইকার ও খুচরা ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। অনেকেই দাম জেনে চলে যাচ্ছেন। আর হাঁকডাক দিয়ে আড়তদাররা স্তূপ করা ইলিশ বিক্রি করছেন। আড়তগুলোতের ইলিশগুলো সাগরের। এসব ইলিশের রং একটু লালচে।চাঁদপুরের জেলে নেতা তছলিম বেপারি বাংলানিউজকে বলেন, সাগরের ইলিশেই আড়ত ও খচুরা বাজার চলছে। ইলিশের ভর মৌসুম চলে যাচ্ছে। কিন্তু পদ্মা-মেঘনায় রূপালি ইলিশের তেমন দেখা নেই। যা মিলছে, তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।তিনি আরও বলেন, ভাদ্র মাস শেষের দিকে। নদীর পানি খুবই ঘোলা। স্রোতও কম। ইলিশও নেই। আশ্বিন মাসে আবার প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় দেওয়া হবে নিষেধাজ্ঞা। জেলেদের রূপালি ইলিশ ধরার এবার স্বপ্ন  হিসেবেই থেকে যাবে।বিয়ে বাড়িতে বজ্রপাতে আহত ১১কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বিয়ের আসরে বজ্রপাতে নারী-শিশুসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াই টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভিলেজার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহতদের উদ্ধার করে উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন খোরশেদ আলমের মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। দুপুর আড়াই টার দিকে বর পক্ষের লোকজন এসে হাজির হয়। তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করছিল কনের বাড়ির লোকজন। এমন সময় হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ১১ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর।ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, অতিমাত্রায় বজ্রপাতের শব্দ শুনে নারী ও শিশুরা ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 
Published : Saturday, 10 September, 2022 at 12:00 AM