লঘুচাপের প্রভাবে দেশে সমুদ্র উপকূলে ঝড় বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই সব সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শনিবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপটি অবস্থান করছে। এটি ঘণীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, উড়িষ্যা, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আরো পড়ুন> বর্তমান বাস্তবতায় যা যা দরকার ভারত তার সবকিছুই দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের
এ অবস্থায় রোববার সকাল পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে ঢাকা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, বগুড়া, নেত্রকোনা, শ্রীমঙ্গল ও সিলেট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বৃদ্ধি পেতে পারে।
এছাড়া রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।