চীনে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ জনে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। খবর রয়টার্স।
সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর প্রভাবে সিচুয়ান প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয় ভূমিধস। এতে প্রাদেশিক রাজধানী চেংদুর পাশাপাশি পাশের প্রদেশেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বহু এলাকা।
প্রদেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় সব পরিবহন, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ সেবা স্বাভাবিক হওয়ার পর জরুরি সতর্কবার্তার স্তর নামানো হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিসিটিভি মঙ্গলবার জানিয়েছে, ৫ বছরের মধ্যে প্রদেশটিতে হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে গানসি নামে পরিচিত এলাকায় ৫৫ জন ও ইয়ান শহরে আরো ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল লুদিংয়ের ৯ জনসহ এখনো ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং তাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত আছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি শহরে নিহতদের স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভূমিকম্পের আঘাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়া অনেককেই উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
এরই মধ্যে ভূমিকম্পের পর সিচুয়ান প্রদেশের ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আহতদের চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বসানো হয়েছে অস্থায়ী ক্যাম্প। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে ওষুধ।
সপ্তাহজুড়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়েছে। এদিকে চলতি সপ্তাহেও চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় কিছু এলাকায় বৃষ্টির নতুন পূর্ভাস দেখা দেওয়ায় ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সিচুয়ানে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০০৮ সালের মে মাসে। ওয়েনচুয়ানে ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।