Published : Wednesday, 14 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 14.09.2022 12:17:27 AM
সাঈদ হাসান, কুবি ||
গত
১৩ জুন গণম্যাধমের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি)
লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী মুহা. নূর উদ্দীন হোসাইনকে
১৪ জুন সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন। একইসাথে ১৪ জুন অধিকতর তদন্তের জন্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরকে আহবায়ক
করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত)
কাজী ওমর সিদ্দিকীকে সদস্য সচিব করা হয়।
কিন্তু ২৩ জুন বহিষ্কারাদেশ
প্রত্যাহার কিংবা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ছাড়াই উপাচার্যের নির্দেশক্রমে
পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বহিষ্কারা আদেশ না তুললে সার্টিফিকেট
পাবেনা এবং কোথাও চাকরির জন্য আবেদন ও করতে পারবে না বলে মনে করছেন
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসব কারনে
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
তাদের
মতে কোন অভিযোগ প্রমাণ না করেই একজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং তদন্ত
কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন ছাড়াই পুনরায় পরীক্ষার অনুমতি প্রদান। সম্পূর্ণ
বিষয়টি ধোয়াশার মধ্যে রয়ে গেছে। পরবর্তীতে যেকোনো সময় এই আদেশ তার
শিক্ষাজীবনকে হুমকির মুখে ফেলবে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে লোকপ্রশাসন বিভাগের
১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, যখন এই ঘটনা ঘটে তখন আমাদের
সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি ছিলো এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করা হোক। দোষী হলে
তিনি একা দোষী নন। কিভাবে দোষী হিসেবে বিবেচনা করছে সেটাও আমরা অবগত না।
সুষ্ঠ তদন্ত করে আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা তদন্ত কমিটি একটা
ম্যাসেইজ পর্যন্ত এখনও দিতে পারে নাই।
আমাদের ২য় দাবি ছিলো মানবিক দিক
বিবেচনা করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা। অপরাধ না করেও কিভাবে বহিষ্কার করা হয়
সেটা জানাতে হবে। এখন প্রশাসন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করে পরীক্ষার
অনুমতি দিয়েছে। যার ফলে এক ধরনের তার শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তায় রয়েছে বলে মনে
করছি।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মুহা. নূর উদ্দীন হোসাইন এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ
বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান মোসা. শামসুন্নাহার বলেন, আমাকে
জিজ্ঞেস করে কোন উত্তর পাবেন না। এখানে আমরা কোন সিদ্বান্ত নেইনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান থেকে এই সিদ্বান্ত এসেছে।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটির
আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, তদন্ত কমিটি
করার এক সপ্তাহ পার না হওয়ার মধ্যেই পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমাদের
সাথে কোন পরামর্শ না করেই উপাচার্য কিভাবে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছেন
সেটা তিনি বলতে পারবেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন,
তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিনস কমিটি ও ট্রেজেরারসহ সবার সম্মতিতে তাকে
পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। যেহেতু তদন্ত কমিটি এখনও রিপোর্ট প্রকাশ
করে নাই তাই বহিষ্কার আদেশ বহাল থাকবে। বহিষ্কার অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
করতে পারে কিনা এমন প্রশ্ন করলে কোন সদুত্তর দেন নাই।