ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ফলোআপ:
গ্রামের বাড়িতে শিরিনার লাশ, শোকের মাতম
লেবাননে বিষক্রিয়ায় মা ও সন্তানের মৃত্যু
Published : Saturday, 17 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 17.09.2022 12:19:20 AM
 গ্রামের বাড়িতে শিরিনার লাশ, শোকের মাতমশাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
লেবাননের বৈরুতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত সাবরা বাজার এলাকার একটি বাড়িতে গত ২১ আগস্ট মা ও দুই সন্তান বিষক্রিয়ায় মারা যাওয়ার ঘটনায় নিহত শিরিনার লাশ শুক্রবার বেলা ১১ টায় নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এর আগে লেবানন দুতাবাসের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার  রাত সাড়ে ১০টায়  দুবাই এমারত ফ্লাইটে শিরিনার লাশ হযরত শাহ জালাল (র) আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে এসে পৌছে। বিমানবন্দরে সব প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় দেবিদ্বার উপজেলার ধামতি গ্রামের বাড়িতে পৌছলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখন পুরো গ্রামের শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারেও চলে শোকের মাতম। নিহত শিরিনা দেবিদ্বার উপজেলার ধামতি গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন আসু মিয়ার মেয়ে। গত ১২ বছর পূর্বে মায়ের সাথে লেবাননে যান তিনি। সেখানে নোয়াখালি জেলার সেনবাগ উপজেলার  দক্ষিণ কাঁদরা ৪নং ওয়ার্ডের দ্বীন মোহাম্মদ মৌলভী বাড়ীর আব্দুল খালেকের ছেলে রাজুর সাথে পরিচয় ও বিয়ে হয়। শিরিনা হত্যাকাণ্ডের সাথে রাজুকে দায়ি করে শিরিনার মা মনোয়ারা বেগম বলেন,  প্রতারক রাজু এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। তাঁর বিচার চাই। তাঁর প্ররোচনায় লেবাননে টিটু এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এরপর তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মুহুর্তে পুরো বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় শিরিনার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট লেবাননের বৈরুতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত সাবরা বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে শিরিন ও তাই দুই সন্তানকে বিষক্রিয়া অবস্থায় উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে যান। দুই দিন চিকিৎসায় থেকে তার ৫বছরের শিশু সন্তান খাদিজা মারা যায়। পরদিন শিরিনাও মারা যায়। তবে বিষক্রিয়া কম থাকায় অপর সন্তান মাহমুদ বেঁচে যায়। মাহমুদ বর্তমানে লেবাননে এক প্রতিবেশীর আশ্রয়ে রয়েছে। লেবাননের দূতাবাসের সহযোগিতায় নিহত শিশু খাদিজাকে সেখানে দাফন করা হয় সেখানে।
শিরিনার ছোট ভাই আকতারুজ্জমান বোনের মৃত্যুকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি জানান, পরিবারের ভরণপোষণ মেটাতে ১২ বছর আগে লেবাননে গিয়েছিলেন আমার মা ও শিরিনা আপা। মা অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে চলে আসে। শিরিনা সেখানে স্বামীর সাথে বাসবাস করছিলেন, গত বছর লেবানন সরকার তার স্বামী রাজুকে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকায় রেড এলার্ড দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।  এরপর থেকে সে আমার বোনকে হত্যা করা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। তার বিশ্বস্থ লোক টিটুকে দিয়ে আমার বোনকে হত্যা করিয়েছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।