Published : Monday, 19 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 19.09.2022 12:07:24 AM
কুমিল্লার
কিংবদন্তী গীতিকার ও সুরকার মনীষী শচীন দেববর্মণের বাড়িটি আন্তর্জাতিক
মানের একটি সংগীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মিউজিক্যাল আর্কাইভ হচ্ছে। রোববার
(১৮ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত
স্থায়ী কমিটির ২৮তম বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে বৈঠকে
এ ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে এ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সুপারিশের
বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়। সেখানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় উল্লেখ
করে, প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ শচীন দেববর্মনের বাড়িটি স্মৃতি হিসেবে সংক্ষরণ
করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে
প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজ শেষ হয়েছে। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে বাড়িটি হস্তান্তর করেনি। তবে প্রত্নতত্ত্ব
অধিদপ্তরের কাছে বাড়িটি হস্তান্তর করা হলে পুরো বাড়িটি সংস্কৃতিবিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে আন্তর্জাতিক মানের একটি সংগীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
এবং মিউজিক্যাল আর্কাইভ স্থাপনের জন্য একটি ডিডিপি পেশ করা হবে।
বৈঠকে
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ঢাকা শহরে সংস্কৃতি চর্চার প্রসারে এলাকাভিত্তিক ছোট
ছোট সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে বৃহৎ আকারের একটি
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সংস্কৃতিবিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে উত্তরায় ৪১ কাঠা জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। ওই জমির লিজ
দলিল সম্পাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে নীলফামারী জেলার নীল সাগর পর্যটন কেন্দ্রটি গেজেটভুক্তকরণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া
বৈঠকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে পূর্বাচলে ১০ একর জমি
বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানোর সুপারিশ করা
হয়। এছাড়া মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার চা শ্রমিকদের জন্য একটি সাংস্কৃতিক
কেন্দ্র নির্মাণ এবং কিশোরগঞ্জ জেলার সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটি সংস্কারের
সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য সিমিন হোসেনের (রিমি)
সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- কমিটির সদস্য সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
কে এম খালিদ, মমতাজ বেগম, আসাদুজ্জামান নূর, অসীম কুমার উকিল, সুবর্ণা
মুস্তাফা ও শেরীফা কাদের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
সচিব, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি,
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, আর্কাইভ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, প্রত্মতত্ব
অধিদপ্তরের মহাপরিচালকরা।