Published : Monday, 19 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 19.09.2022 12:07:55 AM
শাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
দীর্ঘ
এক যুগেও মেরামত করা হয়নি দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর উচ্চ
বিদ্যালয় থেকে চৌমুহনী (চাটুলি ব্রীজ) পর্যন্ত ৮০০ মিটারের এ সড়কটি।
বর্তমানে এ সড়কটি বেহালদশা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণে
সড়কের বিভিন্ন স্থানের পিচ উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ
সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিদিন। এ
নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষোভ জানিয়েছেন।
এলজিআরডি ও স্থানীয়
বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এ সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভানী
ইউনিয়নের সাহারপাড় সিএনজি স্টেশন থেকে শুরু হয়ে পাশ্ববর্তী উপজেলার
মুরাদনগরে গিয়ে শেষ হয়। যোগাযোগের ক্ষেত্রে সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ
সড়ক দিয়ে স্বল্প দূরত্বে বিভিন্নস্থানে যাওয়া যায়। প্রতিদিন হালকা ও ভারী
যানবাহন চলাচল করা ছাড়াও সূর্যপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মাদরাসা-মসজিদ, কমিউনিটি
ক্লিনিকসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজার, ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান যেতে হয় এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু দীর্ঘ ১২বছরেও এ সড়কটির উন্নয়ন বা
সংস্কার কাজ না হওয়ায় এলাকাবাসী ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এবং
ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
স্থানীয়
বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান বলেন, এ সড়কে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ কুমিল্লা
শহরে যেতে প্রতিদিন আশ পাশের ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে।
এছাড়া স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, পণ্যবাহী যানবাহন, অসুস্থ রোগী, গর্ভবর্তী
মায়েদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে এ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ ১২ বছরেও
সংস্কার করা হয়নি সড়কটি।
ভানীর সূর্যপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহবুবুল
হাসান বাবু বলেন, শুধু চাটুলির এ রাস্তাটিই নয়, ভানীর সাহারপাড় থেকে
সূর্যপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাঁচরঙ্গী হয়ে সাইতলা পর্যন্ত আরও দুই
কিলোমিটার রাস্তায় কংক্রিট বালু ফেলে রেখেছে দীর্ঘদিন। ঠিকাদার তাদের মন মত
কাজ করছে। এ বিষয়ে কেউ কিছু বলছে না। সূর্যপুর স্কুল থেকে চাটুলি ব্রীজ
পর্যন্ত রাস্তাটি আরও রাস্তা নেই। খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি
হয়েছে। এটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
ভানী ইউপি চেয়ারম্যান
মো. হাজী জালাল উদ্দিন বলেন, সূর্যপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বহু
কষ্ট করে পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়া আসা করে যা আমি নিজে দেখেছি। গত ১২
বছরেরও কেউ এ রাস্তায় কেউ এক কোদাল মাটিও ফেলেনি। এ রাস্তাটি মেরামতের জন্য
আমি সকলের সহযোগিতা চাই।
দেবিদ্বার উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী মো.
ওয়াদুধ বলেন, ৮০০ মিটারের এ সড়কটি মেরামতের জন্য ৪১ লক্ষ ৪১ হাজার ১৪৩
টাকার বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২০/২১ তারিখে ঢাকা থেকে গ্রামীণ
সড়ক মেরামত অনুমোদন টিম পরিদর্শনে আসবেন। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সড়কটির মেরামত
কাজ শুরু হবে।