তানভীর দিপু:
কুমিল্লা
জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে
যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের
সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু। গতকাল মনোনয়নপত্র
যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া। যদি আপিলে
তিনি তার মনোনয়ন ফিরে না পান, সেক্ষেত্রে মফিজুর রহমান বাবলুই হচ্ছেন
কুমিল্লা জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান।
রবিবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩
টা পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই
বাছাই করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ৭ জন। এসময়
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলমসহ জেলা প্রশাসনের উর্দ্ধতণ
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে
জানা গেছে, যাচাই বাছাইয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়ার মনোনয়ন বাতিল
হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় বিজয়ী হতে পারেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী
মফিজুর রহমান বাবলু। এছাড়া আরো ৭ জন সদস্য পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীর মনোনয়ন
পত্র বাতিল হয় যাচাই বাছাইয়ে। বাদ পড়া প্রার্থীরা ২১ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত
সময়ের মধ্যে আবারো আপিল করতে পারবেন। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর
আপিল মিমংসার দিন ধার্য রয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর মনোনীত প্রার্থীদের মাঝে
প্রতীক বরাদ্দ হবে।
রিটার্নিং কর্মকতার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,
চেয়ারম্যান পদে মোঃ দুলাল মিয়া 'র প্রস্তাবকারীর স্বাক্ষরে গরমিল হওয়ার
কারনে তার মনোনয়নটি বাতিল করা হয়। এছাড়া সাধারন সদস্য পদে ২ নং ওয়ার্ড
তিতাস থেকে শিক্ষাগত সনদ না থাকার ফলে মোঃ আরিফুর রহমান এর মনোনয়ন বাতিল
করা হয়,৭ নং ওয়ার্ড চান্দিনা থেকে মোঃ সেলিম মিয়ার প্রস্তাবকারী ভোটার না
হওয়ার কারনে তার মনোনয়ন টি বাতিল করা হয়,১০ নং ওয়ার্ড বুড়িচং থেকে সনদ না
থাকার কারনে মোঃ মশিউর খান এবং হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকার কারনে ডাঃ এম এ
কাদের খান ও শিক্ষাগত যোগ্যতায় সমস্যার কারনে মোঃ?মোহন মিয়ার এর মনোনয়ন
বাতিল করা হয় এবং ঋণখেলাপীর কারনে ১১ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মোঃ
সাইফুল ইসলাম এর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে বৈধ প্রার্থীরা হলেন
সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন তারা হলেন মোঃ অকিল মাহমুদ,এমরান হোসেন
আকাশ,আবুল কালাম,মোঃ কাইয়ুম হোসাইন,২ নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন তারা হলেন,মজিবুর
রহমান,আতিকুর রহমান,দেলোয়ার হোসেন,সাজ্জাদ হোসেন,৩নং ওয়ার্ড থেকে ৩জন মনির
হোসেন,মোঃ নাঈম ইউসুফ,ওমর ফারুক ৪নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন তারা হলেন জহিরুল
ইসলাম কিশোর,কায়সার আহমেদ ব,মোকবল হোসেন,মোঃ সুমন মিয়া,৫ নং ওয়ার্ড ৫ জন
তারা হলেন মনিরুল ইসলাম, এ বি এম আমিরুল ইসলাম, মোঃ হাবিবউল্লাহ লিটন,রজ্জব
হোসেন রাজু,মোঃ শাহ আলম ৬নং ওয়ার্ড থেকে ৩ জন তারা হলেন আবুল বাসার মোঃ
ইয়াহিয়া সরকার,বাবুল হোসেন,মোস্তাফিজুর রহমান,,৭ নং ওয়ার্ড থেকে ৯ জন
জাহাঙ্গীর আলম, মজিবুর রহমান, আমির হোসেন,কাজী আখলাকুর রহমান,জালাল
উদ্দিন,জাহাঙ্গীর আলম সরকার,বজলুর রহমান, মিজানুর রহমান,নুরুল ইসলাম তুহিন
,৮ নং ওয়ার্ড থেকে ২ জন,তারা হলেন মোঃ আক্তারুজ্জামান,মোঃ জসিম উদ্দিন ৯ নং
ওয়ার্ড থেকে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ ১০ নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন তারা হলেন
,রবিউল আলম,তারেক হায়দার,বিল্লাল হোসেন,মিজানুর রহমান, ১১ নং ওয়ার্ড থেকে ৩
জন তারা হলেন আমানত খান,সুলতান আহমেদ১২ নং ওয়ার্ড থেকে আব্দুল কাইয়ুম
চৌধুরী ,১৩ নং ওয়ার্ড থেকে হাবিবুর রহমান ,১৪নং ওয়ার্ড থেকে ৩ জন তারা হলেন
আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আমির হোসেন ,১৫ নং ওয়ার্ড থেকে ৫ জন তারা হলেন
আবুল খায়ের,বাহাউদ্দীন কোরাইশী,মোস্তাক আহমেদ,তৌহিদুর রহমান,আবু বক্কর
ছিদ্দিক ,১৬ নং থেকে আব্দুর রহিম,১৭ নং ওয়ার্ড থেকে ৬ জন তারা হলেন,একরামুল
হক কামাল,আবুল কালাম আজাম,জি এম জাহিদ হোসেন টিপু,কাজী জাফর আহমেদ,মহিবুল
আলম মজুমদার, ফারুক আহমেদ।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১ নং ওযার্ড থেকে ৪
জন তারা হলেন জেবুন্নেছা,পারুল আক্তার,রোকসানা,নুরনাহার,২ নং ওয়ার্ড থেকে ৪
জন মমতাজ বেগম,সুরাইয়া বেগম,আফজালান্নেছা,সরকার সেলিনা রহমান,৩ নং ওয়ার্ড
থেকে ৫ জন তারা হলেন জান্নাতুল ফেরদৌস,শাহিনুর বেগম,শাকুরা জিন্নাত,হাসিনা
বেগম নিশি, শিরিন সুলতানা ৪ নং ওয়ার্ড থেকে ৩ জন লাভলী আক্তার, ফাহমিদা
জেবিন,শামীমা আক্তার ৫ নং ওয়ার্ড থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
হচ্ছেন সাবেক সদস্য এডভোকেট তানজিনা আক্তার ও ৬ নং ওয়ার্ড থেক ৩জন তারা
হলেন সালমা আক্তার, রহিমা আক্তার,মোসাঃ নাসরিন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
আগামী
২৫ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যারের শেষ দিন ও ২৬ তারিখ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক
বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং ১৭ অক্টোবর ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে ২৬৮০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।