Published : Friday, 23 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 23.09.2022 1:39:06 AM
শাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাস্তবায়নে ২৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৩১ টাকা ব্যয়ে ৫৪৯ মিটার রাস্তা নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ও ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ওয়াহেদপুর সড়ক পাকাকরণ কাজ করছেন মিলিনিয়াম ডেভলাপমেন্ট নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় এলজিইডি অফিস ও এলাকাবাসী রাস্তা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এরপরও ঠিকাদার জোর করে নিম্নমানের ইট ও খোয়া দিয়ে কাজ করছেন বলে জানান এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ওয়াহেদপুর পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজে ইটের খোয়া এক ইঞ্চির কথা বলা হলেও এতে ব্যবহার হয়েছে নিম্নমানের ইটের তিন থেকে চার ইঞ্চি বড় বড় ইটের টুকরা। এসব বড় আকারের ইটের খোয়ায় ইতোমধ্যে মেকাডম হয়ে গেছে। এছাড়াও রাস্তার পাশে পুকুরে ব্যবহারের জন্য সিমেন্টের নিম্নমানের খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা খুঁটি ধরতেই ঝরঝরা বালু খুলে পড়ছে।
জানা গেছে, ৫৪৯ মিটার পিচের সড়ক নির্মাণ কাজে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ২৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৩১ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিলিনিয়াম ডেভলাপমেন্টের মালিক মো. বাহার হোসেনসহ আরও তিন ঠিকাদার গত ফেব্রুয়ারি মাসে এ সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নিম্নমানের ইট ও খোয়া হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা উপজেলা প্রকৌশলীর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। পরে উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম ও এলাকাবাসী কাজটি বন্ধ করে দেন। পরে চলতি মাসের ১তারিখে ওই ঠিকাদারেরা পুনরায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী পুনরায় বাধা দেন। এলাকাবাসী ও এলজিইডি অফিসের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী বাধা দিলেও ওই ঠিকাদার কাউকে তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সুবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী এমএ রশিদ বলেন, আগে একবার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করছিলেন। পরে আমরা বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করেছি। এখন শুনতেছি আবার কাজ শুরু করেছে। আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নাসির হোসেন বলেন, নিম্নমানের ইট ও খোয়া বিছানোর কাজ শেষ। আগেও একবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। তাঁরা আবার কাজ শুরু করেছে।
অভিযুক্ত ঠিকাদার বাহার হোসেন বলেন, এগুলা বলে লাভ নাই ভাই। সবাই যেভাবে করে আমিও সেভাবে মিলেঝিলে করছি। আমাকে কেউ বাধা দেয়নি। বাধা দিলেও লাভ কি, আমি তো কাজ শেষই করে ফেলেছি। কাজের দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, আমি নিজে গিয়ে রাস্তাটা দেখে এসেছি, খুবই খারাপ অবস্থা। কাজ বন্ধ করতে বলেছি, ঠিকাদার কথা শুনেন না।
দেবিদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, আমি ওখানে লোক পাঠিয়েছি, তাঁরা কথা শুনছে না জোর করে কাজ করছে, রবিবার পর্যন্ত ওয়েট করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসে লিখিত অভিযোগ করা হবে। সে জোর করে কাজ করছে দেখি তাঁর কত বড় ক্ষমতা !