কুমিল্লায় ১৫টি নদী বহমান রয়েছে। এসব নদীর বিভিন্ন অংশে দু হাজার ৩২২ জন অবৈধ দখলদার রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬৩ জন উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাছাড়া কুমিল্লা গোমতি নদীর দুপাশ অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা বালু ও মাটি কেটে নেওয়ার ফলে ফসলি জমি ও নদীর গতি পথ নষ্ট হয়েছে। নদীকে বাঁচতে দিতে হবে, নদীকে বাঁচাতে হবে। ড্রেজিং ও দখল রোধে কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং নদীর প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করে পরিবেশ অধিদপ্তর। সচেতনতা সৃষ্টি এবং কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নদীগুলোর প্রাণ ফেরাতে হবে। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তাগন এসব কথা বলেন।
গতকাল রোববার জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহজালাল সেলিম, মোহাম্মদ সেলিমসহ অন্যরা।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, কুমিল্লার গোমতি নদী, পুরাতন গোমতি, ডাকাতিয়াসহ বিভিন্ন নদী দখলদার উচ্ছেদের জন্য আগামী চারদিন টানা অভিযান চলবে। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে এ অভিযান চালাবে।