১৫ বছর আগে কুমিল্লা নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকায় রেস্টুরেন্ট কর্মচারী জহির মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রীসহ কথিত পরকীয়া প্রেমিকের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। খবর জাগো নিউজের।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের জন্য ২ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহেদুল আলম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় জহির মিয়াকে স্যালাইনের সঙ্গে বিষাক্ত ওষুধ মিশিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করিয়ে মুখে কস্টেপ ও বালিশ দিয়ে চেপে হত্যা করা হয়। এরপর জহির মিয়ার বড় ভাই বাদি হয়ে মৃত জহির মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তারসহ অজ্ঞতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে কুমিল্লা আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জহিরের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে জহির মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার এবং শিরিন আক্তারের কথিত প্রেমিক দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২১ মার্চ কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- মৃত জহির মিয়ার স্ত্রী একই জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামের রওশন আলীর মেয়ে শিরিন আক্তার ও শিরিন আক্তারের কথিত পরকিয়া প্রেমিক নগরীর ঝাঁকুনীপাড়া এলাকার মৃত কুমোদ চন্দ্র ভট্টাচার্যের ছেলে দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।