রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়া অতি ছোঁয়াচে ‘চোখ ওঠা’ রোগে আক্রান্ত যাত্রীদের বিদেশ ভ্রমণ না করার অনুরোধ জানিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানান বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রতিদিন চোখ ওঠা আক্রান্ত বহির্গামী যাত্রী দেখা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে যাত্রীদের সুবিধার্থে বিদেশগামীদের চোখ ওঠার লক্ষণ প্রকাশের সাতদিনের মধ্যে সম্ভব হলে বিদেশ ভ্রমণ না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, তবে কোনো যাত্রীর যদি ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা থাকে অথবা বিদেশ যাওয়া জরুরি হয় সেক্ষেত্রে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত যাত্রী ভ্রমণ করলে বিএমডিসি রেজিস্টার্ড একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অথবা এমবিবিএস ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। পাশাপাশি উপযুক্ত প্রেসক্রিপশন, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং সানগ্লাস পরে বিমানবন্দরে উপস্থিত হবেন।
বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং উল্লেখিত ডকুমেন্টস যাচাই করে যাত্রীকে ভ্রমণের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রাজধানীতে বাড়ছে ‘চোখ ওঠা’ রোগ। অতি ছোঁয়াচে এ রোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সর্বত্র দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। চক্ষু বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, চোখ উঠলে চিন্তার কিছু নেই। এ রোগে আক্রান্ত হলে শিশুরা পাঁচদিন আর প্রাপ্তবয়স্করা সাত বা সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে (আলাদা) থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চোখের ছোট ছোট রক্তনালী ফুলে যায়। ফুলে থাকা রক্তনালীগুলোর কারণেই চোখের রং লালচে হয়ে যায়, যেটাকে চোখ ওঠা বা ‘কনজাংকটিভাইটিস’ বলা হয়। যাদের বেশি চোখ ও মাথা ব্যথা থাকে তাদের কারও কারও অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।