Published : Wednesday, 28 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 28.09.2022 1:29:56 AM
তানভীর দিপু:
কুমিল্লায়
মাদকের লোভ দেভিয়ে কিশোর বয়সী জড়ানো হচ্ছে অপরাধে। উঠতি বয়সী আসক্ত এসব
কিশোরদের বিনামূল্যে মাদক সেবন করিয়ে আসক্ত করিয়ে, পরে মাদকের অর্থ যোগাড়
করার জন্য তাদেরকেই ব্যবহার করা হচ্ছে চুরি ছিনতাইসহ নানান অপরাধ
কর্মকাণ্ডে। মাদকের অর্থ যোগাড় করতে গিয়ে চুরি করে বিক্রি করা অটোরিক্সাসহ
গ্রেপ্তার করা হয় এমন ৩ কিশোর-যুবককে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে মিলেছে
মাদক করাবারিদের এমন ভয়ংকর ফাঁেদর তথ্য। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১ এর ক্রাইম প্রিভেনশন-২ কোম্পানী
অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
র্যাব জানায়, নগরীর শাকতলা এলাকার মোঃ
রাশেদ নামে এক ব্যাক্তির ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ভাড়া নিয়ে চালক মোঃ জীবন
(১৭) আর ফেরত অসেনি। অপর দিকে জীবন এর পরিবার তার নিখোঁজের বিষয়ে ২২
সেপ্টেম্বর কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। এরই সূত্র
ধরে র্যাব তদন্তে নেমে ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে তিতাস উপজেলা থেকে
জীবনকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে নগরীর শুভপুর থেকে আরো দুই জনকে আটক
করা হয়, এর মধ্যে একজন জীবনের সমবয়সী ।
র্যাবের হাতে আটককৃতরা হলো,
আদর্শ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার মোঃ কাশেমের ছেলে মোঃ জীবন (১৭),
নগরীর শুভপুর এলাকার বিল্লাল হোসেন এর ছেলে সাকিব হোসেন (১৯), মনোহরগঞ্জ
হাসনাবাদ এলাকার আব্দুস সালাম এর ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন (২৮)।
গ্রেপ্তারকৃতদের
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, নগরীর কিছু মাদক
বিক্রেতা স্বল্প বয়সী কিশোরদের প্রথম অবস্থায় বিনামূল্যে মাদক সেবন করিয়ে
তাদের আসক্তি তৈরী করে। পরবর্তীতে স্বল্প বয়সী কিশোররা মাদকের প্রতি আসক্ত
হয়ে গেলে বিনামূল্যে মাদক সেবন করানো বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা মাদকের অর্থ
যোগাড় করতে বিভিন্ন মহল্লায় চুরিসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত
হয়ে পড়ে। জীবন ও সাকিব ৩/৪ বছর পূর্বে প্রথমে বিনামূল্যে সিগারেট ও গাঁজা
সেবন শুরু করে। পরবর্তীতে, বিভিন্ন জায়গায় সাময়িক সময়ের জন্য দিনমজুরের কাজ
করে টাকা উপার্জন করে এবং মাদক সেবন চালিয়ে যায়। গত ৬ মাস যাবত তারা ইয়াবা
ট্যাবলেট সেবন শুরু করে। পরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। জীবন অটোরিক্সা চালিয়ে ও
সাকিব চকবাজারে মজুরের কাজ করে প্রতিদিন ৪০০/৫০০ টাকা আয় করা শুরু করে।
এসময় তারা ইয়াবা সেবন শুরু করে এবং এতেও আসক্ত হয়।। সময়ের সাথে তাদের ইয়াবা
সেবনের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পায় এবং নিজেরা ইয়াবার টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন
ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। তাদের এসব অপকর্ম ওই মাদক
ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রন করে। এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা
হয়েছে।