ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি বেসামরিক বহরে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে প্রায় ২০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় এক স্থানীয় কর্মকর্তা দাবি করেছেন। প্রাথমিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
ওলেহ সিনেহুবোভ নামের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রুশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত কুপিয়ানস্ক শহরে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে হামলার সঠিক সময় সম্পর্কে তিনি পরিষ্কার ভাবে কিছু জানাননি।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজন গোলাগুলি থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু তাদের ওপর দখলদাররা হামলা চালায়। এটা এমন নিষ্ঠুরতা যার কোনো যুক্তি নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে ওই হামলার খবর যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বেসামরিক বহরে রকেট হামলা চালায় রাশিয়া। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে ৩০ জন নিহত হয়েছে। যদিও ওই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝিয়া পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের মহাপরিচালককে আটক করেছে রাশিয়া। ওই পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রীয় সংস্থা এনারগোটম শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ওই সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে এনেরহোদার শহরে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু শক্তি কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে এর মহাপরিচালক ইহোর মুরাশোভকে আটক করা হয়। তাকে তার গাড়ি থেকে বের করা হয় এবং চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের অধিকৃত চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কো থেকে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন বলেন, ওই চার অঞ্চলের জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। ফলাফল সবারই খুব ভালোভাবে জানা।
ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসনকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রশ্নে গণভোট শুরু হয়েছিল গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর)। পাঁচদিন ধরে চলে এই ভোট। এতে ব্যালটবক্স নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যান রাশিয়ার নিয়োগ দেওয়া নির্বাচনী কর্মকর্তারা। গণভোটে ৯৬ শতাংশ মানুষ রাশিয়ায় যোগদানের পক্ষে মত দিয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। যদিও এই ভোট এবং এর ফলাফল অস্বীকার করেছে ইউক্রেন ও পশ্চিমারা।