কুমিল্লায় ষষ্ঠী পূজা মধ্য দিয়ে ৭৯১টি মণ্ডপে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। সন্ধ্যায় পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও সকাল থেকে প্রতিটি পূজা মণ্ডপ উন্মুক্ত করা হয়েছে সাধারণ পূণ্যার্থীদের জন্য। কুমিল্লার বহুল আলোচিত নানুয়া দিঘীর পাড় পূজা মণ্ডপেও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে শুরু হয়েছে পূজা উদযাপন। সকালে নানুয়া দিঘীরপাড় পূজামণ্ডপ পরিদর্শণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এসময় তিনি জানান, কুমিল্লার পূজা মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষনিক ভাবে চার হাজারের বেশি আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এবার উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা সম্পন্ন হবে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে এবার পুলিশ প্রহরা থাকবে। প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর জোরালো তৎপরতায় এবার কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে। মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু বলেন, কুমিল্লায় উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। নানুয়াদিঘীর পাড় পূজা মণ্ডপসহ প্রায় ৮শ মণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গত বছরে দুঃখজনক অভিজ্ঞতা ভুলে এবছর আবারো উচ্ছ্বাস এবং উদ্যম নিয়ে দুর্গা পূজায় অংশ নিচ্ছে।
সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমা উন্মুক্ত করা হয়েছে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য। সন্ধ্যায় পূজার আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিটি মণ্ডপ ব্যবস্থাপনা পর্ষদ। আগামী ৫ তারিখ বিসর্জন পর্যন্ত যেন জাঁকজমক ভাবে উদযাপিত হয় সে জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ করা হচ্ছে।
নানুয়া দিঘীর পাড় দর্পন সংঘের সদস্য রাজিব সাহা জানান, এবছর আমরা মায়ের কাছে আশীর্বাদ করবো যেন আমরা সবাই শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করতে পারি। সকল বিভেদ ভুলে এই বাংলাদেশের মানুষ সম্প্রীতি বজায় রেখে যার যার ধর্ম পালন করতে পারে।
তিনি আরো জানান, মণ্ডপে পুলিশ এবং আনসার সদস্য পেয়েছি। এছাড়া সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক মণ্ডপ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নগরীর নজরুল এভিনিউতে কাত্যায়নী কালীবাড়ির দূর্গা পূজা মণ্ডপে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন দুই জন পুলিশ সদস্য এবং নারী ও পুরুষ মিলে চার জন আনসার সদস্য। দিন রাত শিফ্ট করে তারা দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান তারা।