স্কোর
টাই। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১ রান। স্ট্রাইকে অধিনায়ক নিগার
সুলতানা জ্যোতি। বাংলাদেশ অধিনায়ক ১ রান নেননি, লং অনে ছক্কা হাঁকিয়ে জয়
নিশ্চিত করলেন।
স্কোরবোর্ডে থাইল্যান্ডের বড় কোনো পুঁজি ছিল না। ফিল্ডিং
করতে নেমে বোলাররা আগেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করে রেখছিলেন, বাকি কাজ ছিল
ব্যাটারদের। বেশি কাউকে লাগেনি, এক শামীমা সুলতানার ঝড়েই উড়ে যায়
থাইল্যান্ড। তাতে নিজেদের মাঠে এশিয়া কাপে শুভসূচনা করে বাংলাদেশ।
সিলেট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে শনিবার টস জিতে ব্যাটিং করতে
নেমে থাই মেয়েরা ১৯.৪ ওভারে ৮২ রানে অলআউট হয়। রান তাড়া করতে নেমে মাত্র
১১.৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
৩০ বলে
সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন শামীমা। ১০টি চারের মারে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল।
সুলতানা যখন ঝড় তুলছিলেন তখন অপর প্রান্তে সঙ্গ দিয়ে গেছেন ফারজানা পিংকি।
পাওয়ার প্লে থেকে আসে ৫২ রান।
অল্পের জন্য শামীমা হাফ সেঞ্চুরি পাননি।
পেতে পারতেন দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরিও। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৮ বলে
ফিফটির রেকর্ড আছে রুমানার। তার আউটে ওপেনিং জুটি ভাঙে ৬৯ রানে।
শামীমা
আউট হলেও বাংলাদেশ আর কোনো উইকেট হারায়নি। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি
আসেন ক্রিজে। ওপেনার শামীমাকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন বিজয়ীর বেশে।
ফারজানা ২৬ ও জ্যোতি ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে থাইল্যান্ডের শুরুটা
সাবধানী হলেও বাংলাদেশি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সেটা ধরে রাখতে পারেনি
তারা। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। পরের ওভারেই হারায়
দ্বিতীয় উইকেট।
এরপর নাত্তাকান-পান্নিতা ৩৮ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এই জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় থাই মেয়েদের ইনিংস।
সর্বোচ্চ
২৬ রান করেন পান্নিতা মায়া। ২২ বলে এই রান করেন তিনি। নাত্তাকান ২০ ও
সর্নারিন করেন ১০ রান। এ ছাড়া দুই অঙ্কের ঘর কেউ পৌঁছাতে পারেননি। তাতে
থাইল্যান্ডকে থামতে আশির ঘরে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন
রুমানা আহমেদ। ৩ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে এই উইকেটগুলো নেন তিনি। এ ছাড়া ২টি
করে উইকেট নেন নাহিদা, সানজিদা ও সোহেলী।