ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী মনির?
রহস্য উদঘাটনে পরকীয়া প্রেমিক গ্রেফতার
Published : Thursday, 6 October, 2022 at 12:00 AM, Update: 06.10.2022 12:05:17 AM

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী মনির?নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সবজি ব্যবসায়ি মোঃ মনির হোসেন খুনের কারন হিসেবে ‘স্ত্রীর পরকীয়া’ উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়,  মনির হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম ড্রাইভার নূর আলমের সাথে প্রেমে লিপ্ত হয়। মনির হোসেন খুন হবার কারণ হিসেবে পরকীয়া প্রেমিক নূর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদেই রহস্য উদঘাটিত হবে।
পুলিশ জানায়,  গত ১০ সেপ্টেম্বর দাউদকান্দির তুজারভাঙ্গা এলাকার সবজি ব্যবসায়ি মোঃ মনির হোসেনের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ বুড়িচং থানাধীন ৭ নং মোকাম ইউনিয়নের পরিহল পাড়া চেয়ারম্যান বাড়ির রাস্তার ১০০ গজ পূর্বদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ঢাকা গামী মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।  পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে মৃতদেহটি সনাক্ত করেন এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ মর্গে পাঠান। প্রাথমিকভাবে মৃতদেহের মাথায়, মুখে ও নাকে অনেকগুলো রক্তাক্ত গভীর কাটা জখম দেখা যায়। এ সংক্রান্তে ভিকটিম মনির হোসেনের মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার পরপরই মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করেন জেলা গোয়েন্দা কুমিল্লা। তদন্ত কালে দেখা যায়, ভিকটিম মনির হোসেনের স্ত্রী নাজমা এর সহিত ড্রাইভার নুর আলম মিয়া (২৪) এর সাথে গত দেড় বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। এটা নিয়ে ভিকটিমের সাথে স্ত্রী নাজমার মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে ভিকটিমের স্ত্রী নাজমা স্বামীর বাসা থেকে দুই ছেলেকে নিয়ে তার বোন বিউটির বাসায় চলে যায়। সেখানে ঘাতক নুর আলম এর সাথে নাজমার সম্পর্ক আরো গভীর হয়। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে কথা বলে নাজমা পুনরায় বাচ্চাদের নিয়ে তার স্বামীর বাসায় ফিরে আসে। তখন ঘাতক নুর আলম ভিকটিমের স্ত্রী নাজমাকে তার কাছে চলে আসতে বলে। নাজমা স্বামীর ঘর ছেড়ে আর কোথাও যাবে না জানালে ঘাতক নুর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত  ৪ অক্টোবর  ঘাতক নুর আলমকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ কালে উক্ত রহস্যের জট খুলতে শুরু করে।  গ্রেফতারকৃত আসামি নুর আলমকে বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করলে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মোঃ জাহিদুল আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন এবং রিমান্ডের আবেদন করেন।