
ত্রিদেশীয়
সিরিজের ফাইনালে খেলতে হলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের।
নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২০৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে একাই লড়ে গেলেন বাংলাদেশের
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের অধিনায়ক করেন ইনিংস সেরা ৭০ রান।
কিন্তু পাহাড়সম টার্গেট অতিক্রম করতে পারেনি পুরো দল। ২০৮ রান তাড়ায়
সাকিবের দল থামে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬০ রানেই। তাই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি
ম্যাচের আগে নিউজিল্যান্ডে আগামীকালই শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের।
রান তাড়া
করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। দুইবার জীবন পেয়েও ইনিংস
লম্বা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। অ্যাডাম মিলনের বলে বোল্ড হয়ে ১২
বলে ১১ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশের ওপেনার। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন
না লিটনও। ব্রেসওয়েলের বলে ১৬ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে এই ওপেনার। বাংলাদেশ
দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ৪৭ রানে।
এরপর সাকিব-সৌম্যের জুটিতে স্বস্তিতে
ছিল বাংলাদেশ। তবে আশা জাগিয়েও ফিরতে হল সৌম্যকে। ১৭ বলে তিন চারে ২৩ রান
করে মিলনের বলে বিদায় নেন তিনি। তার বিদায়ে ভেঙে যায় ২৭ বলে ৪৩ রানের জুটি।
এরপর ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না আফিফও। ৪ বলে ৪ রান করে মাইকেল
ব্রেসওয়েলের শিকার তিনি। ৪ উইকেট পতনের পর সাকিবের সঙ্গী হয়েছিলেন ফর্মে
থাকা সোহান। তবে দলকে বিপদে ফেলে মাত্র দুই রান করতেই আউট বাংলাদেশের
সহ-অধিনায়ক। ইয়াসির রাব্বি করেন ৬ রান।
এদিকে ব্যাট হাতে একাই লড়ে যান
সাকিব। দেখা পান অর্ধশতকের। শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে থামেন সাকিব। মাত্র ৪৪ বলে
খেলা তার এই ইনিংসটি আটটি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো। এদিকে ৮ রানে মোসাদ্দেক ও
২ রানে সাইফউদ্দিন অপরাজিত থাকেন। আর বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৬০ রানে।
এর
আগে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশি দলনেতা
সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের কল্যাণে দুর্দান্ত সূচনা পায়
কিউইরা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৪৫ রান। ১৯ বলে ৩২ রানে ফেরেন অ্যালেন।
অ্যালেন
ফিরলেও রানের ঝড় থামাননি কনওয়ে ও গাপটিল। ৩০ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি
করেন। এর আগে গাপটিলের সঙ্গে জুটিতে ৫০ রান করেছেন। তবে দলীয় ১২৭ রানে
গাপটিলকে ফিরিয়ে ৮৬ রানের জুটি ভাঙেন এবাদত। দলে ফেরা গাপটিল ২৭ বলে ৩৪ রান
করেন ৩ চার ও ১ ছক্কায়।
১৭তম ওভারে বাংলাদেশকে জোড়া সাফল্য এনে দেন
সাইফউদ্দিন। বিধ্বংসী ব্যাটার কনওয়েকে বিদায় করার দুই বল পর তার শিকার
মার্ক চ্যাপম্যান। ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৪০ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন
নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি ওপেনার। ২ রানে করে বিদায় নেন চ্যাপম্যান।
এরপর
ছক্কা বৃষ্টিতে দ্রুত রান তুলেছেন গ্লেন ফিলিপস। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুইশো
পার হয়েছে নিউজিল্যান্ডের রান। মাত্র ১৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ২৪ বল
খেলে করেন ৬০ রান। এদিকে ৬ রান নিশাম ও শূন্যরানে ব্রেসওয়েল অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও
ইবাদত হোসেন। এছাড়া একটি উইকেটের দেখা পেয়েছেন শরীফুল ইসলাম।