
রণবীর
ঘোষ কিংকর: কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনের সদস্য পদের ভোট গ্রহণ নিয়ে
চান্দিনায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল থেকে
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে
নির্বাচন কমিশন।
জানা যায়, কুমিল্লা-৭নং ওয়ার্ড চান্দিনায় ১৮৫জন ভোটার
রয়েছে। এর মধ্যে ভোটারের মৃত্যু ও অপর এক ভোটার বিদেশে থাকায় ভোট প্রদান
করবেন ১৮৩জন। যাদের মধ্যে ১৪০জন পুরুষ ও ৪৩জন নারী ভোটার রয়েছেন। আর ১৮৫জন
ভোটারের জন্য উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের একটি কক্ষে ২টি বুথ খোলা হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএম ডিভাইসে ভোট প্রদান করে ভোটাররা
নির্বাচিত করবেন জেলা পরিষদে তাদের ওয়ার্ড প্রতিনিধিকে।
অবাধ-সুষ্ঠু ও
নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের লক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন প্রশাসন।
প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪টি ওয়ার্ডের জন্য ১জন
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতিটি কেন্দ্রে ২০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য,
র্যাবের টিম। এছাড়াও থাকছে পুলিশের মোবাইল টিম, ব্যাটালিয়ন পুলিশ ও আনসার।
ভোট গ্রহণের জন্য ১জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও
৪জন পুলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
এদিকে, কুমিল্লা জেলা পরিষদ
নির্বাচনে ৩টি পদের ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান পদে
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুর রহমান বাবলু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
হওয়ায় ভোটের লড়াইয়ে আছেন শুধুমাত্র প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ও
সংরক্ষিত প্রার্থীরা।
কুমিল্লার-৭ ওয়ার্ড (চান্দিনা) থেকে সাধারণ সদস্য
পদে ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ৬জনই আওয়ামী লীগ
সমর্থিত। বাকি একজন সদস্য এলডিপি থেকে সদ্য পদত্যাগ করা প্রার্থী। সদস্য
পদে রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ মনোয়ন না করা হলেও দলের পক্ষে পরোক্ষ সমর্থন
করা হয় প্রার্থীকে। সেই হিসেবে কুমিল্লার ৭নং ওয়ার্ড চান্দিনা থেকে আওয়ামী
লীগের যে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে তিন প্রার্থী
রয়েছেন আলোচনার শীর্ষে।
তারা হলেন সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম
(টিউবওয়েল), অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান (হাতি), নূরুল ইসলাম তুহিন
(বৈদ্যুতিক পাখা)। বাকি প্রার্থীরা হলেন- মিজানুর রহমান (বক), জাহাঙ্গীর
আলম সরকার (উটপাখি), মোহাম্মদ সেলিম ভূইয়া (অটোরিক্সা) এবং এলডিপি থেকে
সদ্য পদত্যাগ করা প্রার্থী জালাল উদ্দিন কালা (তালা)।
এছাড়া দেবীদ্বার,
চান্দিনা ও বরুড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত তিনটি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য
পদে লড়ছেন ৫ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ২জন দেবীদ্বার, ২জন চান্দিনা ও ১জন
বরুড়া উপজেলার বাসিনা।
ওই তিন প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ
সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম তুহিনকে নিয়ে মাঠে নেমেছেন প্রয়াত সংসদ
সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ সমর্থিত ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির
নেতা-কর্মীরা। প্রার্থী অধ্যাপক বজলুর রহমানকে নিয়ে মাঠে নেমেছেন বর্তমান
সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত সমর্থিত
অনুসারীরা। ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন সদ্য বিদায়ী সদস্য
জাহাঙ্গীর আলমও। প্রচারণায় পিছিয়ে নেই মিজানুর রহমান।
চান্দিনা উপজেলা
নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাপস শীল জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা
প্রশাসক মহোদয় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার সহকারি
রিটার্নিং কর্মকর্তা। আমরা জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক চান্দিনাতে
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট
গ্রহণের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।