ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
শ্বশুর বাড়িতে যুবককে শিকলে বেঁধে মারধর, মরদেহ মিললো পুকুরে
Published : Tuesday, 18 October, 2022 at 12:00 AM, Update: 18.10.2022 12:47:17 AM
শ্বশুর বাড়িতে যুবককে শিকলে বেঁধে মারধর, মরদেহ মিললো পুকুরেরণবীর ঘোষ কিংকর:
কুমিল্লার চান্দিনায় শ্বশুর বাড়িতে আরমান হোসেন জনি (২৬) নামে এক যুবককে শিকলে বেঁধে আটকে রেখে মারধরের পর ওই যুবকের মরদেহ মিলেছে পাশের গ্রামের একটি পুকুরে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয় শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে জনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জনি পাশ্ববর্তী দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংচর গ্রামের মজিবুর রহমান এর ছেলে। পেশায় পিকআপ চালক।
নিহতের পিতা মজিবুর রহমান জানান, গত ৬ মাস পূর্বে আমার ছেলেকে চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে শিল্পী আক্তারের সাথে বিবাহ দেই। পুত্রবধু শিল্পী আক্তার পূর্বে বিবাহিতা ও এক সন্তানের জননী। আমার ছেলেকে বিবাহ করার পরও শিল্পী তার পূর্বের স্বামীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাধ হতো। প্রায় ১০ দিন পূর্বে আমার পুত্রবধু তার পিতার বাড়িতে বেড়াতে আসায় গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে আমার ছেলে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। রবিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হওয়ার পর তারা (শ্বশুর বাড়ির লোকজন) আমার ছেলের হাত-পা বেঁধে মারধর করে। রাত প্রায় ১০টার দিকে আমার ছেলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফোন করে কাবিনের টাকা ও অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য আমাকে বলে। সকালে শুনি আমার ছেলের লাশ কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুরে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তারা আমার ছেলেকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
নিহত জনির স্ত্রী শিল্পী আক্তার জানান, জনি মাদকাসক্ত ছিল। প্রায়ই আমাকে মারধর করতো। আমার বাপের বাড়িতে গিয়ে আমাকে মারধর করায় এলাকার লোকজন তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে আমার শ্বশুরকে ফোন করে। রাত ১টার দিকে সে (স্বামী) হাতের শিকল খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন দুপুর ১২টায় আমরা থানায় জিডি করতে আসলে শুনতে পাই আমার স্বামীর লাশ একটি পুকুরে পাওয়া গেছে।
চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব হাসান জানান, কুটুম্বপুর গ্রামের মতিন মিয়ার ছেলে মিলন (১৩) নামের এক কিশোর পুকুরের পাশ দিয়ে আসার সময় ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দেখে এলাকাবাসীকে জানায়। খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের নাক, কান ও চোখে প্রচুর রক্তক্ষরণ দেখতে পাই। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করার জন্য এসেছেন।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) ফয়েজ ইকবাল, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র একটি টিম হ চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।