
ডেঙ্গুর
প্রাদুর্ভাবের মধ্যে একদিনে ৯০০ রোগী ভর্তি হয়েছেন দেশের বিভিন্ন
হাসপাতালে; এই সময়ে আরও তিন জনের প্রাণ কেড়েছে এইডিস মশাবাহিত এ রোগ।
চলতি বছর এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। এর আগে সোমবার ৮৫৭ জন এবং রোববার ৮৫৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। তাদের মধ্যে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের সংবাদ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায়
ভর্তি রোগীর মধ্যে ৫২৮ জন ঢাকায় এবং ৩৭২ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন
হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরের বাইরে চট্গ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১২৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
ঢাকা
বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৮৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৪৩ জন,
রাজশাহী বিভাগে ৫১ জন, রংপুর বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে ৪৪ জন এবং সিলেট
বিভাগে তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়।
বর্তমানে
সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ২২৭ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ হাজার ১৪৮ জন।
অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১
হাজার ৭৯ জন।
গত এক দিনে যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের একজন ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, একজন মিটফোর্ড হাসপাতালে এবং কক্সবাজারে একজনের
মৃত্যু হয়েছে।
সারাদেশে এ পর্যন্ত যে ৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন, তাদের মধ্যে ৫৫ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে
ঢাকা বিভাগের নরসিংদী জেলায়। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৫ জন, ময়মনসিংহ
বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে ২ এবং বরিশাল বিভাগে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
বর্ষাকাল
এলেই ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এইডিস মশার উৎপাত বাড়ে। এ সময় এই মশার দংশনে
আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ে। তবে এ বছর এ রোগের প্রকোপ বেড়েছে
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, অক্টোবরের প্রথম
১৮ দিনে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৮৪৬ জন, যা ১০ মাসের
মধ্যে সর্বোচ্চ।
এ বছর জানুয়ারি মাসে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ২০ জন,
মার্চে ২০ জন, এপ্রিল মাসে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন, জুন মাসে ৭৩৭ জন, জুলাই
মাসে ১ হাজার ৫৭১ জন, অগাস্ট মাসে ৩ হাজার ৫২১ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৯
হাজার ৯১১ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
যে ৯৯ জনের
মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ৪৪ জনের প্রাণ গেছে অক্টোবরের প্রথম ১৮ দিনে। এছাড়া
জুন মাসে ১ জন, জুলাই মাসে ৯ জন, অগাস্ট মাসে ১১ জন এবং সেপ্টেম্বরে ৩৪
জনের মৃত্যু হয়েছে এইডিসবাহিত এই রোগে।