শরৎ পেরিয়ে হেমন্তের সবে শুরু। আর এরিমধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে শীতকাল। ইট-পাথরের জঞ্জালে ভরা রাজধানীতে শীত বোঝা না গেলেও উত্তরে শীতের আগমনী বার্তা এসে গেছে।
বিশেষ করে সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। হিমালয় থেকে ঠাণ্ডা বাতাস ধীরে ধীরে ঢুকতে শুরু করেছে উত্তরাঞ্চলে।
গেল চার দিন পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগের দিন ছিলো ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, গত কয়েকদিনে পঞ্চগড়ে বৃষ্টির কারণে শুক্রবার ভোর থেকে হঠাৎ করে কুয়াশার পরিমাণ বেড়েছে। যতই রাত হচ্ছে শীতের তীব্রতা এবং কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, কয়েকদিন ধরেই জেলায় শীতের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা পড়ছে। সবুজ ঘাস, ধান ও চা-গাছের ডগায় ফোঁটায় ফোঁটায় শিশির বিন্দুর দেখা মিলছে।
সূর্য ডোবার পর থেকে ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করছে। তাই কাঞ্চনজঙ্ঘা ও আগাম শীতের অভিজ্ঞতা নিতে আশপাশের জেলা থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন পঞ্চগড়ে।
হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে পঞ্চগড়ে আগেভাগেই শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে থাকে প্রচণ্ড শীত।
তবে ভাদ্র-আশ্বিনের পর শুরু হয় হেমন্ত। হেমন্ত যেন এক অপরূপ প্রকৃতির মুগ্ধকর অনুভূতি। শরতের শেষ ভাগে আশ্বিনের দমকা বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাস বয়ে নিয়ে আসে শীতের পরশ।
একদিকে শীতের পরশ, অন্যদিকে এ সময়ে উত্তরের পরিষ্কার নীল আকাশে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। এ দু’য়ে মিলে সময়টি হয়ে ওঠে দারুণ আনন্দের।
এরিমধ্যে পর্যটকের সমাগম ঘটতে শুরু করেছে এই হিমপ্রবণ অঞ্চলে। আবাসিক হোটেলে প্রচুর পর্যটক আসছেন। অনেকেই আসার জন্য হোটেল বুকিং দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছে মালিকরা।
অক্টোবরের শুরুতে খানিকটা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও গত কয়েকদিন ধরে আর দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশার সঙ্গে শীত নামিয়ে জেলায় কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা।
আকাশ মেঘমুক্ত না থাকায় এবং ঘন কুয়াশার কারণে বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে না পারায় বিমুখ হয়ে ফিরছেন অনেকেই।