স্বামীর সোহানুর রহমান সোহানের পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় বিয়ের দুই মাসের মাথায় খুন হয়েছেন নববধূ আতিয়ার আকতার। খুনের পর দুইদিন লাশ ড্রাম ভর্তি করে রাখেন। পরে পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যান স্বামী সোহান। ঘটনার ৯ দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা থেকে সোহানকে গ্রেফতারের পর উম্মোচন হয় এ খুনের রহস্যের। পরে তার দেয়া তথ্যে ভিত্তিতে, মো রুবেল, মোহাম্মদ আশিক এবং লিটন নামে আরো তিন জনকে গ্রেফতার করে সিএমপি’র পতেঙ্গা থানা পুলিশ।
পতেঙ্গা থানার ওসি আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর বলেন, দুই মাস আগে আতিয়ারের সাথে বিয়ে হয় সোহানের। স্বামীর পরকীয়ার নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গত ১১ অক্টোবর স্ত্রীকে খুন করেন সোহান। পরদিন সকালে তার বন্ধু রুবেল ও আশিককে বাসায় ডেকে আনে। তাদের সহযোগিতায় মরদেহ একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে কর্মস্থল পতেঙ্গায় গুদামে নিয়ে রাখে। ১৩ অক্টোবর রাতে গুদাম থেকে ড্রামভর্তি মরদেহ সিএনজি টেক্সিতে করে পতেঙ্গা কালীবাড়ি এলাকায় নিয়ে গিয়ে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। এরপর সোহানুর কুমিল্লা চলে যায়। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বামীদের গ্রেফতার করা হয়।
ওসি বলেন, ‘সোহানের সাথে একাধিক নারীর পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। তার বয়স ২২ বছর হলেও এরই মধ্যে চারটি বিয়ে করেছেন। মূলত তার পরকীয়া এবং বহুগামিতার প্রতিবাদ করায় খুনের এ ঘটনা ঘটে।’