ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবীদ্বার ‘মৈত্রী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন বই বিতরণ
Published : Saturday, 2 January, 2021 at 12:00 AM
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে বাংলাদেশে এবার কোন বই উৎসব না হলেও শিক্ষার্থীদের হাতে ভিন্ন আঙ্গিকে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
১ জানুয়ারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায়  উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন দেবীদ্বার ‘মৈত্রী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত বই বিতরণ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছামিরুন্নেছা মিতা চৌধূরীর সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রায়হান ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য নারী নেত্রী শিরিন সুলতানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক, কলামিষ্ট, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক এ,বি,এম আতিকুর রহমান বাশার।
উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সদস্য নাজমুল হাসান নাহিদ, সহকারী অধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার, সহকারী শিক্ষক রুমি আক্তার, রুমা আক্তার, আবু ফয়সাল, মো. জুয়েল হালিমা আক্তার, মো. কামাল হোসেন মাষ্টার, নাছরিন আক্তার প্রমুখ।
আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশে ২০১০ সালের পর থেকে প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারি বই উৎসবের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হতো। কিন্তু করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে প্রায় এক দশক ধরে চলে আসা প্রচলিত এই নিয়মের। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা ভেবে এবছরে সমাবেশ করে কোন বই উৎসব হচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বই বিতরণ করা হয়েছে।
চলতি বছরে দেশব্যাপী চার কোটি ১৭ লাখ শিক্ষার্থীদের জন্য মোট সাড়ে ৩৪ কোটি বই দেয়া হবে। এছাড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচটি ভাষায় প্রাক প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ১৪ হাজার বই দেয়া হবে। সেইসঙ্গে প্রায় ৯ হাজার দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জন্য ব্রেইল পদ্ধতির বই বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়, যা এখন পর্যন্ত খোলেনি। মহামারীর কারণে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা এবং এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়াই প্রমোশন দেয়া হয়েছে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের।
এবছর দেবীদ্বার উপজেলার ৫১টি মাধ্যমিক, ৩১টি দাখিল মাদ্রাসা, ২১টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা, ১৮টি নি¤œ মাধ্যমিক সহ ১২১টি বিদ্যালয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৮লক্ষ ৩৫হাজার বই বিতরণ করার কথা থাকলেও বিতরণ করা হয়েছে ৭লক্ষ ৩৮হাজার ৫২০টি। বাকী বই চলতি সপ্তাহে প্রাপ্তির পর বিতরণ করা হবে বলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কায়দে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, মাধ্যমিক শ্রেণীর ৯০% ভাগ ও মাদ্রাসায় ৮০% বই বিতরণ করা হয়েছে। বাকীগুলো খুব শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।
অপর দিকে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার পোদ্দার জানান, উপজেলার ১৮৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮০টি বেসরকারী কিন্ডার গার্টেন সহ ৫৬৬টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় সোয়া ৩লক্ষ বই এসেছে। তিনি বলেন, আমাদের শতভাগ বই বিতরণ শেষ হলেও কিছু বই অতিরিক্ত রয়েছে। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে তা সরবরাহ করা হবে।
প্রধান অতিথি শিরিন সুলতানা বলেন, বৈশি^ক মহামারী ‘করোনা’র প্রভাবে আমাদের সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থায়। যা আমাদের কাটিয়ে উঠতে পরিবারিক সচেতনতার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। বৈশি^ক মহামারী ‘করোনা’কে সাথে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।