একই প্রতিষ্ঠান বারবার কেন ঠিকাদারি পায়, তদন্ত করবে সংসদীয় কমিটি
Published : Saturday, 2 January, 2021 at 12:00 AM
সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের উন্নয়ন কাজগুলো একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বারবার পায় কিনা, তা খতিয়ে দেখবে সংসদীয় কমিটি। এ বিষয়ে একটি উপ-কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গেছে, বৈঠকে ধলেশ্বরী সেতুতে টোল আদায় নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষাপটেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের অন্য কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একাধিক টেন্ডার পাওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটির সদস্য শেখ সালাহউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে দুই সদস্যের ওই কমিটি করা হয়। উপ-কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করার সুপারিশ করা হয়।
এদিকে ধলেশ্বরী সেতুতে টোল আদায়ে অনিয়ম নিয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপটে সংসদীয় বিষয়টি আবারও তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটির সদস্য ধলেশ্বরী সেতুসহ দেশের সকল সেতুতে টোল আদায়ে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রাপ্ত অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটির সদস্য এনামুল হককে আহ্বায়ক করে দুই সদস্য বিশিষ্ট উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলেছে সংসদীয় কমিটি।
ধলেশ্বরী সেতুতে দিনে ৩০ লাখ টাকা টোল আদায় হলেও সরকার তিন লাখ পায়- গত অক্টোবর মাসে গণমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই মাসেই সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটি মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করার সুপারিশ করে। পরে মন্ত্রণালয় তদন্ত করে সংসদীয় কমিটিকে জানায়, পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন ‘বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’। সংসদীয় কমিটিতে আরও অভিযোগ ওঠে, ধলেশ্বরী সেতুতে টোল আদায়ে নিয়োজিত সার্ভিস প্রোভাইডারের ইজারার মেয়াদ তিন বার বাড়ানো হয়েছে এবং এক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে।
বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় অবস্থিত রিসোর্ট ইজারা প্রদান, তথা বঙ্গবন্ধু সেতুর আনন্দ পার্ক, পিকনিক স্পট ও বাগান (এগ্রিকালচার), জমি ও অন্যান্য অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিককে আহ্বায়ক করে দুই সদস্যের সংসদীয় উপ-কমিটি গঠন করা হয়। আগামী দুই মাসের প্রতিবেদন জমা দিতে বলে স্থায়ী কমিটি।
বৈঠকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্থানীয় কিংবা রাজনৈতিক সকল প্রতিবদ্ধকতা দূর করে সড়ক/মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ইঞ্জিনচালিত রিকশা ইত্যাদি চলাচল বন্ধ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরবর্তী বৈঠকে বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় ডিআইজি এবং হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এছাড়া এনামুল হক, আবু জাহির, রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, ছলিম উদ্দীন তরফদার, শেখ সালাহউদ্দিন, সৈয়দ আবু হোসেন এবং রাবেয়া আলীম বৈঠকে অংশ নেন।