ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় এক বছরেও শনাক্ত হয়নি শাবাৎ খানের খুনিরা
Published : Saturday, 2 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 02.01.2021 12:52:10 AM
কুমিল্লায় এক বছরেও শনাক্ত হয়নি শাবাৎ খানের খুনিরা নিজস্ব প্রতিবেদক: মামলা হলো, তদন্ত হলো , তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হলো। তার মাঝে এক বছর পার হলো। তবুও সনাক্ত করা যায়নি নগরীর ১ নং ওয়ার্ড বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা ডা. লিয়াকত আলীর ছেলে শাবাৎ খানের খুনিদের। পরিবারের সদস্যরা আজও আইনশৃংখলা বাহিনীর দিকে তাকিয়ে আছেন। খুনিরা ধরা পরবে। তাদের শাস্তি হবে।
গত ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সোমবার রাতে বাসা থেকে বের হয় শাবাৎ খান। এরপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। একটি চাবির রিং ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়ায় সময় মোবাইল মানিব্যাগ কিছুই সাথে নেয় নি শাবাত। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারী বুধবার সকাল ১১ টায় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বাবা ডা. লেয়াকত আলী খান জানতে পারেন তার ছেলের লাশ গোমতী নদীতে ভাসছে।
এ ঘটনার পরদিন ২ জানুয়ারী শাবাৎ খানের বাবা ডা.লিয়াকত আলী খান বাদী হয়ে ১০ জনের নামোল্লেখ করে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহীন কাদির। তবে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করার ১০ দিন পর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন( পিবিআই)এ হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হচ্ছেন কুমিল্লা পিবিআইর পরিদর্শক মতিউর রহমান।
ছেলে হারিয়ে গত এক বছর ধরে পাগল প্রায় শাবাতের মা কুমিল্লা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্য রাফিয়া আক্তার ডেইজি। তিনি বলেন, আমরা ভালো নেই। আমাদের ছেলেকে হারিয়েছি। আমরা জানি বিচ্ছেদের কি যন্ত্রনা। আমার ছেলে সহজ সরল ছিলো। গত এক বছর যাবত আমরা আইনশৃংখলা বাহিনীর দিতে তাকিয়ে আছি। কবে শাবাতের খুনিরা আটক হবে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। আমরা আইনশৃংখলা বাহিনীকে সব ধরণের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি। তবুও খুনিরা অধরা । আমরা শুনেছি এই খুনের সাথে যারা জড়িত তাদের হাত অনেক লম্বা। তাই আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের আটক করতে পারছে না।
শাবাৎ খানের বাবা ডা. লিয়াকত আলী বলেন, গত ২০২০ সালের ১২ মার্চ শাবাৎ খানের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমরা পুলিশকে সম্ভাব্য সব রকম তথ্য উপাত্ত দিয়েছি। তবুও কেন আসামীদের ধরতে পারছে না পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান বলেন, আসলে তদন্ত চলছে। আমরা এখনো নির্ভরযোগ্য কু পাইনি। যার কারনে রহস্য উদঘাটনে আমাদের দেরী হচ্ছে। তবে মতিউর রহমান আশা প্রকাশ করে বলেন, তারা চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। এই মামলার রহস্য উদঘাটন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, নগরীর ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ডা. লিয়াকত আলী ও রাফিয়া আক্তার ডেইজি দম্পত্তির দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে শাবাৎ খান সবার ছোট ছিলো। গত ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাসা থেকে বের হয়। পরদিন ২০২০ সালের ১ জানুয়ারী গোমতীনদীর পালপাড়া থেকে শাবাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।