জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জে আইনি মোকাবেলা শেষ
করে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জে নিজ দেশে ফিরতে পারবেন। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট
মরিসন এমন দাবি করেছেন।
এর আগে সোমবার ব্রিটেনের এক বিচারক মার্কিন প্রত্যর্পণের অনুরোধ আটকে
দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির আইন লঙ্ঘনসহ
বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।
বিচারক বলেন, অ্যাসাঞ্জের মানসিক স্বাস্থ্য নাজুক। মার্কিন কারাগারে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ঝুঁকি আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অ্যাসাঞ্জকে
প্রত্যর্পণে কৌঁসুলিদের পরামর্শে আমরা চেষ্টা অব্যাহত রাখব। এখন লন্ডনের
উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
ব্রিটিশ বিচারকের সিদ্ধান্তে চরম অসন্তোষ প্রকাশের কথাও জানায় মার্কিন
বিচার মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যখন
আমরা নাখোশ, তখন আশার কথা হলো, আইনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র জয়ী
হয়েছে।
রেডিও স্টেশন ২জিবিতে মরিসন বলেন, বিচারব্যবস্থাই পথ পরিষ্কার করে
দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমরা কোনো পক্ষ না। যে কোনো অস্ট্রেলীয় নাগরিকের মতো
তাদের কনস্যুলার সহায়তার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আপনারা জানেন, সেই আপিল
ব্যর্থ হয়েছে। এটি খুবই পরিষ্কার, যে কোনো অস্ট্রেলীয় নাগরিকের মতো
অ্যাসাঞ্জও নিজ দেশে ফিরতে পারবেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে এটি খুবই সহজ একটি আইনি প্রক্রিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রে ৪৯ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি অপরাধের অভিযোগ
রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গোপনীয় নথি ও
কূটনৈতিক কেবল ফাঁস করে দেয়ার ঘটনায় এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে জীবনের বাকিটা সময় তাকে কারাগারেই কাটাতে হবে।