কুমিল্লায় নতুন বই বিতরণে টাকা নেয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
Published : Wednesday, 6 January, 2021 at 12:00 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের একবালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বই বিতরণে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
জানা যায়, পয়লা জানুয়ারী শুক্রবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের একবালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বই বিতরণে সময় শিক্ষার্থীরা বই নেয়ার জন্য আসলে তাদের কাছ থেকে ৫০/১০০ টাকা খরচের কথা জানায় স্কুলের শিক্ষকরা। টাকা না দেয়ার কারণে অধিকাংশ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বই না দিয়ে ফিরিয়ে শিক্ষকরা। পরে অভিভাবকরা টাকার বিনিময়ে বাধ্য হয়ে সরকারী বই কিনে নিতে হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসি। বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক মেম্বার হুমায়ুন বলেন, এই প্রথম টাকার বিনিময়ে আমার নাতিকে নতুন বই কিনে দিতে হয়েছে। বই আনতে স্কুলে গেলে টাকা না দেয়ায় তাকে ফিরিয়ে দেয়। পরে ৫০ টাকার বিনিময়ে নতুন বই দেয়া হয়।
স্থানীয় মেম্বার মোঃ আনাস জানান, অনিয়মের অভিযোগ শুনতে পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
একবালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বাবুল বলেন, ভর্তির বাবদ টাকা নেয়া হয়েছে। নতুন বইয়ের কোন টাকা নেয়া হয়নি।
একবালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হরিপদ জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন অবৈধ। তদন্ত করে ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
এ ব্যাপারে গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্তে প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা শিক্ষা প্রান্তিক সাহা বলেন, সরকারি বই বিতরণে আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণ অবৈধ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। তাদের শোকজ করা হয়েছে। অনিয়মের সাথে জড়িতদের ছাড় নেই।
এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার প্রমাণ মিলেছে। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিস যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কুমিল্লা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মান্নান জানান, অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।