ওই শিক্ষানবিশ সহকারী
পুলিশ সুপারের (৩৭তম বিসিএসের কর্মকর্তা) লেখায় ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ থাকায় সংখ্যাটি
প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে এই মাসিক পত্রিকার সম্পাদক পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি
হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন।তিনি বুধবার রাতে বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই নারী কর্মকর্তা নবীন। তিনি পুলিশে ঢোকার পরপরই লেখাটি
দিয়েছিলেন। তার এই লেখা প্রকাশের আগে আমাদেরও চোখ এড়িয়ে গেছে।“লেখাটি নিয়ে বিতর্ক
থাকায় ডিটেকটিভ-এর বিজয় দিবস সংখ্যার যে ১৫ হাজার কপি ছাপানো হয়েছিল, সেগুলোর বিতরণ
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”‘জনবান্ধব পুলিশ হবে
মানুষের প্রথম আশ্রয়স্থল’ শিরোনামে ওই লেখায় পুলিশের পরিদর্শক থেকে নিম্ন পদমর্যাদার
কর্মকর্তাদের ‘ক্ষুধার্ত’ আখ্যায়িত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মানুষের তাদের কাছ থেকে ‘অর্থনৈতিক
হয়রানির শিকার হন’।
পত্রিকাটি প্রকাশের
পর ওই লেখা নিয়ে পুলিশ সদস্যদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। কোনো কোনো পুলিশ সদস্য
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখার স্ক্রিনশট তুলে দিয়ে ওই কর্মকর্তার সমালোচনা করছেন।ওই পুলিশ কর্মকর্তা
এই লেখার জন্য ইতোমধ্যে ‘দুঃখপ্রকাশ করেছেন’ বলে ডিআইজি হাবিব জানিয়েছেন।তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, পুলিশের নিজস্ব প্রকাশনা ‘ডিটেকটিভ’ খোলাবাজারে বিক্রি হয় না। সৌজন্য
কপি হিসাবে বিভিন্ন ব্যক্তি, বিজ্ঞাপনদাতা এবং নির্ধারিত পুলিশ সদস্যদের এই পত্রিকা
দেওয়া হয়ে থাকে।“পত্রিকাটি পুরোপুরি
বিতরণের আগে ওই লেখাটা কয়েকজন কর্মকর্তার চোখে পড়ে যাওয়ায় পরবর্তী বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া
হয়। সংখ্যাটিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।”এরইমধ্যে যাদের কাছে
পত্রিকাটি পাঠানো হয়েছে, তাদেরকে ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।