Published : Wednesday, 6 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 06.01.2021 12:39:23 AM
তানভীর দিপু ||
ছিনতাই
রোধে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। সোম ও মঙ্গলবার এই দুই
দিনে কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গা থেকে ১২ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে আটক করেছে
পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়াও হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে
নগরীতে ছিনতাইয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো ঘুরে দেখেছেন কুমিল্লার
নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ। তিনি গতকাল রাতে কুমিল্লা নগরীর
সালাউদ্দিন মোড়, টমছমব্রীজ ও ইপেিজড সংলগ্ন এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে
দেখেন। এসময় তিনি স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন। এসময় পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের
বলেন, পরিচয় গোপন করে তথ্য দিন-নিরাপদ কুমিল্লা গড়ায় অংশ নিন। পুলিশ সুপার
আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় সংঘটিত হওয়া বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের
ঘটনা কুমিল্লার সচেতন মানুষের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। এরপর থেকেই কুমিল্লা
জেলা পুলিশ তাদের তৎপরতায় পেশাদার ১২ জন ছিনতাইকারীকে আটক করে। সাধারণ
মানুষ তথ্য দিলে আমাদের কাজ খুব সহজ এবং দ্রুত হয়। এতে করে ছিনতাইকারী
সম্পর্কে পুলিশ আরো বেশি তথ্য পাবে এবং আমরা খুব দ্রুত কুমিল্লাকে ছিনতাই
মুক্ত করতে পারবো। এজন্য প্রয়োজনে তথ্যদাতাদের নাম প্রকাশ করা হবে না।
পুলিশ
সুপার ছিনতাইয়ের স্পট পরিদর্শনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার আজিম উল আহসান, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হকসহ
পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে কুমিল্লা
নগরীর বিভিন্ন স্থানসহ কোটবাড়ি শালবন বিহার, বুড়িচং রোড, পদুয়ারবাজার
এলাকায় পর পর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। রাতের বেলা ছাড়াও দিনে দুপুরেও ছিনতাইয়ের
ঘটনা ঘটছে শহরে। এমনকি জনবহুল এলাকাতেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া
হচ্ছে মোবাইল, টাকা পয়সাসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী। এসব ঘটনায় থানায়
অভিযোগ না হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা উল্লেখ করে
অনেকেই প্রশাসনের কাছে ছিনতাই রোধে দ্রুত পদক্ষেপ চেয়েছেন। এসব ঘটনায়
বিভিন্ন স্ট্যান্ডের অসৎ সিএনজি ও অটোরিকশা চালকদের যোগসাজশের কথাও উঠে
এসেছে অভিযোগে। এদিকে রবিবার সকালে কোটবাড়ি শালবন এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে
অটোরিকশা চালকসহ ২জনকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
গত শুক্রবার ও শনিবার এধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
সচেতন নাগরিকদের দাবি কুমিল্লার গুরুত্বপূর্ণ
পয়েন্টগুলোতে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে এসব ছিনতাইকারীদের খোঁজে বের
করা। এছাড়া যেসব এলাকায় সিসি ক্যামেরা নেই সেখানে দ্রুত ক্যামেরার ব্যবস্থা
এবং পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা। তবে এক্ষেত্রে পুলিশের তৎপর ভূমিকা
ছিনতাই কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিনে ঘটে যাওয়া ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের কাছে
অফিশিয়ালি অভিযোগ করেননি কেউ। তবে প্রতিটি ঘটনার পর পরই সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ফেসবুকে ছিনতাইয়ের বিষয়টি তুলে ধরে পুলিশ-প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
করছেন ভুক্তভোগিরা।