ভারতে নিজের শিক্ষিকার ছবি বিকৃত করে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া প্রোফাইল
তৈরি করে তাকে এসকর্ট হিসেবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বদনাম করার চেষ্টা করেছে একাদশ
শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। তাকে সেই কাজে সহযোগিতা করেছেন ২২ বছর বয়সী দূর
সম্পর্কের এক ভাই। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আগ্রার। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নাবালক হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে এবং তার
ভাইকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
জানা যায়, ওই শিক্ষিকার হোয়াটসঅ্যাপ
প্রোফাইলের ছবি এডিট করে ফেসবুক প্রোফাইলের ছবিতে ব্যবহার করা হয়। সেই
সঙ্গে শিক্ষিকার মোবাইল নম্বর দিয়ে বলা হয়, দেড় হাজার রুপির বিনিময়ে তাকে
এক রাতের জন্য পাওয়া যাবে। এরপর থেকেই ওই শিক্ষিকার কাছে বিভিন্ন জায়গা
থেকে ফোন আসতে শুরু করে। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে
অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করার পর জানতে পারে ২২ বছর বয়সী ওই যুবকের
সিমকার্ড দিয়ে ওই শিক্ষিকার ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে প্রোফাইলটি খোলা হয়েছে।
আগ্রার সাইবার ক্রাইম অফিসার বিজয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘এটা স্পষ্ট যে, ওই
ছেলেটি তার শিক্ষিকাকে বদনাম করার জন্য এমনটা করেছে। কিন্তু ঠিক কেন সে
তার শিক্ষিকার সঙ্গে এমনটা করলো তা এখনো পরিষ্কার নয়।’
তবে ওই শিক্ষিকার বাসায় মাসখানেক পড়তে যাওয়ার পর তাকে পড়াতে অস্বীকার
করেছিলেন তিনি। তার অভিযোগ ছিল, ছেলেটির ব্যবহার ‘অদ্ভুত’। পড়ানো বন্ধ করার
কারণেই প্রতিহিংসাবশত ছাত্রটি এমন করেছে। পড়ানো বন্ধ করার কয়েকদিনের
মধ্যেই তিনি বিভিন্ন নম্বর থেকে ভুয়া ফোন পাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছেন। পুলিশ
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অভিযুক্তদের।