মৃত্যুর আগেই টুইট করে বলেছিলেন, ‘কিছু আমাদের
আটকাতে পারবে না। ওরা চেষ্টা করবে। কিন্তু এখানে ঝড় রয়েছে। আগামী ২৪
ঘণ্টার মধ্যে আমরা ওয়াশিংটনে আসছি। অন্ধকার থেকে আলো আসছে’। ক্যাপিটল
বিল্ডিংয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনায় যে মহিলার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর
খবর প্রথম পাওয়া যায়, সেই মহিলার নাম অ্যাশলি ব্যাবিট। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থক। তিনিই ওই টুইটটি করেছিলেন।
আমেরিকার বিমান বাহিনীতেও তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। সান দিয়েগোর
বাসিন্দা ওয়াশিংটন এসেছিলেন ট্রাম্পের হয়ে আওয়াজ তুলতে। সেখানেই গুলিবিদ্ধ
হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
এখনও স্পষ্ট নয় ঠিক কার গুলিতে, কী ভাবে অ্যাশলির মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে পুলিশ। আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম
জানিয়েছে, অ্যাশলির সান দিয়েগোতে একটি ব্যবসা ছিল। বাড়ির কাউকে না জানিয়েই
তিনি ওয়াশিংটনের প্রতিবাদে যোগ দিতে চলে এসেছিলেন। তাঁর শাশুড়ি বলছেন,
‘কেন যে ও সিদ্ধান্ত নিল ওয়াশিংটন যাওয়ার, বুঝতে পারছি না।’
কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার নির্বাচনের জয়ের শংসাপত্র পেতে
চলেছেন জো বাইডেন। কিন্তু তার আগেই উত্তাল হয়ে ওঠে ওয়াশিংটন ডিসি। বুধবার
আমেরিকার কংগ্রেসের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালান ডোনাল্ড ট্রাম্পের
সমর্থকরা। কয়েক হাজার সমর্থক ট্রাম্পের সমর্থনে স্লোগান তুলে ক্যাপিটল
বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলেন। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা
নেয় ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়
পুলিশের। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে
ঢোকার চেষ্টা করতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা চত্বর। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের
মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ৪ জনের মধ্যে এক জন ছিলেন অ্যাশলি। আরও কয়েক
জনের আহত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গ্রেফতার
হয়েছেন প্রায় ৫০ জন।