দিহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ
Published : Saturday, 9 January, 2021 at 5:25 PM
রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার
অভিযোগে গ্রেফতার ইফতেখার ফারদিন দিহানের তিন ভাই। তাদের বাবা আবদুর রউফ সরকারের আদি নিবাস রাজশাহী
জেলার দুর্গাপুরের রাতুগ্রামে। অবসরপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রউফ
সরকার ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি তার বড় ছেলে সুপ্তকে নিয়ে গ্রামে থাকেন। আর মা
সানজিদা সরকার শিল্পীর সঙ্গে দিহান ও তার মেজ ভাই নিলয় ঢাকায় থাকেন। নিলয়
ব্যাংকে চাকরি করেন।
দুর্গাপুরের রাতুগ্রামের বাড়ি ছাড়াও জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে তাদের
আরেকটি বাড়ি রয়েছে। রাজশাহী নগরীতেও আছে দুটি বাড়ি। এর একটি সাগরপাড়া
এলাকায়। আরেকটি বাড়ি নগরীর পদ্মা আবাসিকে। ঢাকায় আছে ফ্ল্যাট। দিহানের মা
শিল্পীও ঢাকায় বেপরোয়া চলাফেরা করেন বলে জানা গেছে। ছোটবেলা থেকেই দিহান ঢাকায় থাকেন। তাই তার সম্পর্কে
গ্রামের মানুষের ধারণা কম। তবে তার বড় ভাই সুপ্ত ‘মাদকাসক্ত’। ২০০৯ সালেই
তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। পরে মোটা অঙ্কের টাকার
বিনিময়ে সেই মামলার আপস করা হয়। পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। সুপ্তর স্ত্রী রুনা খাতুনের বাবার বাড়ি কিশোরগঞ্জ। আর তার
নানার বাড়ি রাজশাহী নগরীর হোসনীগঞ্জ মহল্লায়। রাজশাহীতেই সুপ্তর সঙ্গে তার
পরিচয়। এরপর বিয়ে। কিছুদিন পরই সুপ্ত ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে
রুনাকে বিষ মুখে ঢেলে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে রুনার মা থানায় মামলা
করেছিলেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় আসামিদের শাস্তির দাবিতে রুনার লাশ নিয়ে
রাজশাহীতে মিছিল হয়েছিল।
রুনার নানাবাড়ি এলাকার এক নারী হত্যা মামলার সাক্ষী। তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই রুনাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন
করা হতো। শেষে তার মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। পরে তাকে রাজশাহী
মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর রুনা হাসপাতালে মারা যান। আমরা তার লাশ
নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করি। রুনার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের
শাস্তির দাবি জানাই। মামলাটা চলছিলই। পরে তারা টাকা দিয়ে মীমাংসা করে নেয়।
এরপর পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।