Published : Sunday, 17 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 17.01.2021 1:07:06 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: চান্দিনা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই
ফিঙ্গার প্রিন্ট জটিলতায় পড়ে ভোট না দিয়ে ফিরে গেছেন অন্তত অর্ধশতাধিক
ভোটার।
৭নং ওয়ার্ডের ভোটার অনীল নাহা বলেন ‘সকাল ১১টায় আমি ভোট দিতে
আসি। কয়েকবার চেষ্টার করেও আমার আঙ্গুলের ছাপ না মিলায় আমাকে এনআইডি কার্ড
নিয়ে আসার জন্য বলেন। আমি বাড়ি থেকে এনআইডি কার্ড নিয়ে আসলে কার্ডের নম্বর
চাপার পর কম্পিউটার স্ক্রিনে আমার ছবিসহ ভোটার তালিকা আসে। তারপর আবার আমার
আঙ্গুলের ছাপ নেয়। কিন্তু ছাপ না মিলায় আমাকে ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে
বলেন।
তিনি তীব্র ক্ষোভ করে বলেন, হাতের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটার
হয়েছিলাম। এখন আঙ্গুলের ছাপ মেলে না! আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় আমি কি এদেশের
নাগরিক হইনি, যে ভোট দিতে পারবো না? ইভিএম মেশিন আমাদের আঙ্গুলের ছাপ
মিলাতে পারছে না, সেটা মেশিনের ত্রুটি। সেই কারণে আমি ভোট দিতে পারবো না-
এটা কেমন কথা?
একই ওয়ার্ডের আশিউর্ধ্ব বয়সী আব্দুু মিয়া হতাশাগ্রস্ত হয়ে
বলেন, মেশিনের ভোট দিমু ভাইবা আইছি। কিন্তুভোট দিতে পারলাম না। বয়স হইছে,
চামড়া বইট্টা গেছে, আঙ্গুলের ছাপ না কি মিলে না। ক্ষণে সাবান দিয়ে, ক্ষণে
লেবু দিয়া ঘইস্যাও আঙ্গুলের ছাপ উঠাতে পারলাম না। আর জীবনে ভোট দিতাম
পাইরাম কি না জানি না।’
একই কেন্দ্রের ভোটার হাজী কাশেম, ছালাউদ্দিন,
বিল্লাল হোসেন, ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব বেলাশহর কেন্দ্রে ৯৫ বয়সী বন্দে আলী
মিয়া, ৩নং ওয়ার্ডের আব্দুল আলিম, আমেনা বেগমসহ অন্তত অর্ধশতাধিক ভোটার
ফিঙ্গার প্রিন্ট জটিলতায় ভোট দিতে না পেওে ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
এছাড়া
চান্দিনার ৮নং ওয়ার্ডে বিশ্বাস কেন্দ্রের একটি কক্ষে ইভিএম মেশিন স্লো হয়ে
ভোটগ্রহণে বিলম্ব। সকাল সাড়ে ১১টায় ওই ঘটনা ঘটলে ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়েন
ভোটাররা। প্রায় ৩০ মিনিট একই অবস্থায় থাকার পর মেশিনটি বদল করেন
সংশ্লিষ্টরা। অপরদিকে ৩নং ওয়ার্ডের একটি কক্ষে ভোট চালু হতে বেশ সময় লাগে।
এ
ব্যাপারে সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আহসান হাবিব
বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো।’