ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
এক বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হলো ৬ কাউন্সিলর প্রার্থীকে
Published : Sunday, 17 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 17.01.2021 1:07:14 AM
এক বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হলো ৬ কাউন্সিলর প্রার্থীকেনিজস্ব প্রতিবেদক: ভোট শুরুর পর চান্দিনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বেলাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের সারিতে কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার সময় ছয় কাউন্সিলর প্রার্থীকে দিনভর স্কুলের মাঠে এক বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়। সারিতে দাঁড়ানো ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ায় অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করলে তা নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় নির্বাচন কর্মকর্তারা তাদের বসিয়ে রাখেন। গতকাল শনিবার চান্দিনা পৌরসভার নির্বাচন চলাকালীন সময় এই ঘটনা ঘটে।
তারা হলেন, পানির বোতল প্রতীকের প্রার্থী কামাল হোসেন, টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের আবদুস ছামাদ, ডালিম প্রতীকের বাচ্চু মিয়া, পাঞ্জাবি প্রতীকের মনির হোসেন, গাজর প্রতীকের সাহাবউদ্দিন ও উটপাখি প্রতীকের আরিফুর রহমান। এর মধ্যে বিএনপি সমর্থিত কামাল টানা দুই মেয়াদের কাউন্সিলর। এলডিপি–সমর্থিত ছামাদ দুই মেয়াদের কাউন্সিলর ও বাচ্চু মিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থাকা অবস্থায় সাধারণ সদস্য (মেম্বার) ছিলেন।
রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে অনেকেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরীর করা চেষ্টা করছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তবে বেঞ্চে বসা প্রার্থীরা জানান, তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনেই বসে আছেন। ভোটাররা স্বতঃস্ফুর্তভাবে যাকে ভোট দেবে সে-ই নির্বাচিত হবেন।
দুপুর ১২টায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বেলাশ্বর কেন্দ্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার সময় ওই প্রার্থীরা সেখানেই বসা ছিলেন। কাছে গেলে ছয় প্রার্থী অভিন্ন সুরে বলেন, ‘তাঁরা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বসে আছেন। ভোটারেরা যাঁকে ভোট দেবেন, আমরা তা মেনে নেব।’
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই ভোটকেন্দ্রে মুজিবুর রহমান (৩৮) নামের এক ভোটার (পেশায় গোডাউন শ্রমিক) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ কারণে ভোটকেন্দ্রটিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৯৫৯ ভোট।