আসছে ২০ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
ক্ষমতার মেয়াদ। ওই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিবেন আমেরিকার নবনির্বাচিত
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার আগ মুহূর্তে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে
গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলেন ট্রাম্প। এ লক্ষ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয়
করে সামরিক তৎপরতা চালাতে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকম-কে নির্দেশ
দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি পারস্য উপসাগরীয় দেশ বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব
আমিরাতকে ‘গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প।
ইরানের বিরুদ্ধে একটি সামরিক জোট গঠন করার সর্বাত্মক চেষ্টার শেষ পর্যায়ে
এসে ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব কথা বলেছেন। সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব
রাষ্ট্র সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।
গত শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মার্কিন সেনা সদরদফতর পেন্টাগন দাবি
করেছে, ইসরায়েল এবং আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা ও উত্তেজনা
কমে আসার পেক্ষাপটে মিত্রদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে
সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
পেন্টাগনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল হচ্ছে আমেরিকার জন্য
নেতৃস্থানীয় কৌশলগত মিত্র এবং ইসরায়েল ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয়
রক্ষা করলে মার্কিন সেন্টকমের জন্য বাড়তি শক্তি তৈরি হবে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কারণে আমেরিকা সংযুক্ত আরব
আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোকে নানারকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকা। এর মধ্যে সুদানকে কালোতালিকা থেকে মুক্তি
দিয়েছে এবং দেশটির বিপুল অংকের ঋণ পরিশোধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া,
আরব আমিরাত ও মরক্কোর কাছে প্রচুর পরিমাণে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি করার
চুক্তি করেছে আমেরিকা। সূত্র: এয়ারফোর্স ম্যাগাজিন, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল,
আল-জাজিরা