ক্যাপিটল হিল হামলার দিন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির কার্যালয় থেকে একটি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে, যা রুশদের কাছে বিক্রি করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) বরাত দিয়ে আজ সোমবার এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে প্রবেশ করা ট্রাম্পের এক নারী সমর্থক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির কার্যালয় থেকে একটি ল্যাপটপ চুরি করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ল্যাপটপ রাশিয়ার কাছে বিক্রি করার আশঙ্কা করছেন এখন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্যাপিটল হিলে ন্যান্সি পেলোসির কার্যালয় থেকে কোনো ল্যাপটপ আদৌ চুরি হয়েছে কিনা, হলে কীভাবে ও কে করেছে সে বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই দিনের ঘটনায় করা মামলার বিপরীতে আদালতে জমা দেওয়া নথিতে, এক নারীর বিরুদ্ধে পেলোসির দপ্তর থেকে ল্যাপটপ চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। পুরো বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন।
আদালতে জমা দেওয়া নথিসূত্রে জানা যায়, রিলে জুন উইলিয়ামস নামের এক নারী ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে প্রবেশ করেন। ওই হামলার সময় করা এক ভিডিওতে দেখা যায় পেনসিলভানিয়ার এই তরুণী ক্যাপিটল হিলের ওপর তলায় পেলোসির কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার জন্য লোকেদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।
পরে তদন্ত কর্মকর্তারা জুন উইলিয়ামসের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই বন্ধুদের কাছ থেকে একটি ভিডিও পাওয়া যায়, যেখানে উইলিয়ামসকে পেলোসির দপ্তর থেকে একটি ল্যাপটপ বা হার্ড ডিস্কের মতো জিনিস সরাতে দেখা যায়। তদন্ত কর্মকর্তাদের ভাষ্য, উইলিয়ামস এই ল্যাপটপ বা হার্ড ডিস্ক তাঁর এক রুশ বন্ধুর কাছে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। ওই বন্ধু পরে তা গুপ্তচর সংস্থা এসভিআরের কাছে বিক্রি করবেন।
এদিকে পেনসিলভানিয়ার স্থানীয় একটি পত্রিকা জুন উইলিয়ামসের মায়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, উইলিয়ামস বাড়ি ছেড়েছেন। সঙ্গে নিজের ব্যাগটি নিয়ে গেছেন তিনি। যাওয়ার সময় মাকে বলে গেছেন, তিনি দুই সপ্তাহের জন্য যাচ্ছেন।
সন্দেহভাজন তরুণী জুন উইলিয়ামস পলাতক রয়েছেন এবং তিনি তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সব অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছেন। অন্য অনুপ্রবেশকারীদের মতোই তাঁর বিরুদ্ধেও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাপিটল হিলে অনুপ্রবেশ, সহিংসতা ও আইন লঙ্ঘনের মতো অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তবে এখনো চুরির দায়ে কোনো মামলা করা হয়নি।