পাকিস্তানের ক্রিকেটে রেষারেষির সংস্কৃতিটা পুরোনো। মোহাম্মদ আমিরের অবসর নিয়ে যেমন দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি চলছেই। পাকিস্তানি এই পেসার মাত্র ২৮ বছর বয়সেই অবসর ঘোষণা করে হইচই ফেলে দিয়েছেন। এটুকুও হয়তো অস্বাভাবিক ঘটনা ছিল না। কিন্তু বিদায়বেলায় একগাদা অভিযোগ দিয়ে গেছেন টিম ম্যানেজম্যান্টকে নিয়ে।
আলাদা করেই আমির কাঠগড়ায় তুলেছেন দলের বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস আর হেড কোচ মিসবাহ উল হককে। তাদের মানসিক নির্যাতনের কারণেই অবসর নিতে বাধ্য হয়েছেন, এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন আমির।
আমিরের এমন অভিযোগের আবার পাল্টা জবাব দিয়েছেন ওয়াকার-মিসবাহ। ওয়াকার জানিয়েছেন, উত্তরসূরীর অভিযোগ শুনে মনে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। মিসবাহ তো উল্টো সব দায় চাপিয়েছেন আমিরের কাঁধেই। প্রশ্ন তুলেছেন, বাঁহাতি এই পেসারের দেশের প্রতি নিবেদন নিয়ে।
এই পাল্টাপাল্টির আগুনে নতুন করে ঘি ঢাললেন আমির। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার জানিয়েছেন, তিনি অবসর ভেঙে ফিরতে প্রস্তুত। তবে সঙ্গে যে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, তাতে চাকরি নিয়ে টানাটানি লেগে যাবে ওয়াকার-মিসবাহর।
আমির টুইটারে লিখেছেন, ‘একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, আমি পাকিস্তান দলে ফিরব। তবে এটা তখনই সম্ভব, যখন এই ম্যানেজম্যান্ট চলে যাবে। তাই দয়া করে কাটতির জন্য ভুয়া খবর ছড়ানো বন্ধ করুন।’
গত সপ্তাহেই স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আমির টিম ম্যানেজম্যান্টকে উদ্দেশ্য করে কঠোর ভাষায় বলেন, ‘খেলোয়াড়দের কিছু জায়গা এবং স্বাধীনতা দিন। ড্রেসিংরুমে ভয় জাগানিয়া পরিবেশের ইতি টানুন, তাহলে এই খেলোয়াড়রাই আপনাকে ম্যাচ জেতাবে।’
২০১৯ সালে আমির হঠাৎই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন। তখন জানান, শরীর তিন ফরমেটের ধকল নিতে পারছে না। অথচ ৩৬ টেস্টে ১১৯ উইকেট তার নামের পাশে। পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পরও এই ফরমেটে খারাপ খেলছিলেন না।
আমির টেস্ট থেকে হঠাৎ অবসর ঘোষণার পরই টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে তার নানা ধরনের দ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে আসতে থাকে। ওই দ্বন্দ্বের জেরে শেষপর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।