নিজস্ব
প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরও ১৬ জনের
মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৬৯৭ জন। সোমবার বিকালে
সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প থেকে দেশে
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৬৯৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩২৯ জন হয়েছে।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৯২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৭৩৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে
উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭৩
হাজার ১৭৩ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল
গত ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২
জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ
শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত
হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর
জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৯তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে ৯ কোটি পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ লাখ ৩১ হাজার।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৫টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি
জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট
১৯৯টি ল্যাবে ১২ হাজার ৭০৭টি নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে
৩৪ লাখ ৭০ হাজার ১৬০টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের
হার ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক
৫০ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীা করা হয়েছে ২৭ লাখ ২৭ হাজার ১১৮টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৭ লাখ ৪৩ হাজার ৪২টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ আর নারী ৪ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১১ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৯২২ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৪ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯১৮ জন নারী।
তাদের
মধ্যে ৪ হাজার ৩৬৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৯৯৪ জনের
বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯১৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৯১
জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬০
জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর
মধ্যে ৪ হাজার ৩৯৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৫১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৫২
জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪৩ জন খুলনা বিভাগের, ২৪০ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০১ জন
সিলেট বিভাগের, ৩৫৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের
বাসিন্দা ছিলেন।