অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ২০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) “উপহার” হিসেবে বাংলাদেশকে সরবরাহ করবে ভারত সরকার।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে এক সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আগামী ২৫-২৬ জানুয়ারি দেশে আসবে।
তিনি বলেন, “সরকার ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামটা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে চায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নীতিমালা অনুসারে যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, আগে তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সেখানে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।”
তবে যাদের বয়স ১৮ বছরের নীচে তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা জাহিদ মালেক।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দেশের সব সাংবাদিকদের যথাসময়ে ভ্যাকসিন দেয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন যথাযথভাবে দেয়ার জন্য আইসিটি বিভাগ একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। জনগণকে সেখানে নিবন্ধনের মাধ্যমে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, “আমরা অন্যদের (অন্যান্য দেশের) তুলনায় স্বল্প সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য গত নভেম্বরে (ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে) একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলাম।”
“আমরা এখন কোভিড- ১৯ এর ভ্যাকসিন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা রাশিয়া, চীন ও অন্যান্য দেশের সাথেও ভ্যাকসিনের জন্য আলোচনা করছি,” বলেন তিনি।
জনগণকে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য ইতমধ্যে ৪ হাজার ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “কারা আগে ভ্যাকসিন পাবে, এ জন্য আমরা একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জাতীয় কমিটি তৈরি করেছিলাম। প্রত্যেক সাংবাদিক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার কারণে তারাও আগে ভ্যাকসিন পাবেন।"
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে করোনাভাইরাস আসার প্রথম থেকেই প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে প্রতিরোধে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছিল। ফলে মহামারিটির দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে দেশে মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে বলে মনে করেন তিনি।