করোনাভাইরাসের প্রভাব থাকা সত্ত্বেও অর্থনীতি সঠিক পথে রয়েছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শিগগির তা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী। কারণ ব্যাখ্যা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি থেকে উত্তরণে সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো যথেষ্ট সময়োপযোগী ছিল।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী চলতি অর্থবছরের বাজেটের প্রথম প্রান্তিকের বাস্তবায়নের অগ্রগতিবিষয়ক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এ সব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অগ্রগতির যে চিত্র আমরা দেখলাম, তা থেকে নির্দ্বিধায় বলা যায় আমরা সঠিক পথে রয়েছি।’
করোনা মহামারি সত্ত্বেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করা গেছে বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকারের বাস্তবমুখী ও পর্যাপ্ত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটি সম্ভব হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিসঞ্চার, কর্মসৃজন ও কর্মসুরক্ষা, অভ্যন্তরীণ চাহিদা সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে পেরেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরের বাকি সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। প্রথম প্রান্তিকে সামগ্রিকভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য সূচকগুলোর অবস্থাও ইতিবাচক।’
তথ্য-উপাত্ত ও উদাহরণ দিয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি, রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি, প্রবাসী আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা এবং মূল্যস্ফীতির নিম্নগতি নির্দেশ করে যে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর দিকে এগিয়ে চলেছি।’
তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ভবিষ্যতে সরকারের অন্যতম কৌশল হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ খাতে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বেসরকারি বিনিয়োগে গতি আনা, দারিদ্র্য হ্রাস, রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসার, কর ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক খাতের সংস্কার আনা, এ কথাও বলেন মুস্তফা কামাল।
আমদানি ব্যয় কমেছে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম প্রান্তিকে আমদানি ব্যয় কমেছে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কিছুটা কম হওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়া হচ্ছে আমদানি ব্যয় কমার কারণ।