প্রেম করে বিয়ে করার পরদিনই বধূ হয়ে স্বামীর বাড়িতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন
জান্নাতুল রুবাইয়াত তন্বী (২১) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিনের
প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে গড়ালেও বিয়ের পরদিনই স্বামীর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত লাশ
উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত তন্বী টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার জরাশাহীবাগ এলাকার অগ্রণী
ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক হাশেম খানশুর এবং বাসাইল সদর ইউনিয়নের সাবেক
নারী মেম্বার বিউটি আক্তারের ছোট মেয়ে। তিনি জোবেদা রুবেয়া সরকারি মহিলা
কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মঙ্গলবার পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার মৃত গিয়াসউদ্দিনের ছেলে সাদেক আহমেদ সাইমের (৩৪) সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দা হিসেবে সাইম এবং
তন্বীর পরিবারের মধ্যে ভালো জানাশোনা রয়েছে। পারিবারিক সুসম্পর্ক এবং
পরিচয়ের সুবাদে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের বিষয়টি
তন্বীর পরিবার জানার পর ভালোভাবে গ্রহণ করেনি।
বিভিন্ন জায়গা থেকে তন্বী এবং সায়েমের বিয়ের প্রস্তাব আসলেও উভয়ের কেউই
বিয়ে করেনি। মঙ্গলবার দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। পরদিন শোবার
ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তন্বীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে তন্বীর দেবর শাকিল খান দাবি করেন, স্থানীয় গণ্যমান্য
ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ভাবির (তন্বী) পরিবার বিয়ের কাবিনসহ অনুষ্ঠানিকতা
শেষ করলেও মেয়ের প্রতি তারা নাখোশ ছিলেন। আজ (বুধবার) সকালে যখন ভাবি আমাকে
এবং আমার ভাই সায়েমকে বাজার করতে পাঠান তখন তাকে খুব বিষন্ন লাগছিল। ধারণা
করা হচ্ছে- সকালে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়া করার পর রাগে ক্ষোভে
আত্মহত্যা করেছেন।
তবে তন্বীর বাবা হাশেম খানশুর বলেন, আমি নিজে উপস্থিত থেকে বিয়ের কাজ
সম্পন্ন করেছি। বিয়ের মাত্র এক রাতের মাথায় মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা সত্যিই
মর্মান্তিক এবং এটা স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়া যায় না।
তিনি দাবি করেন, আত্মহত্যায় আমার মেয়েকে প্ররোচিত করা হয়েছে বলে আমার
বিশ্বাস। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে মামলার বিষয়ে এগিয়ে যাব।
এ ব্যাপারে বাসাইল থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে
ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। বাসাইল থানায় একটি অপমৃত্যু
মামলা দায়ের করা হয়েছে।