দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সিফরির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ফারাক্কা ব্যারেজের ডাউন স্ট্রিমের গঙ্গায় সবচেয়ে বেশি ইলিশ পাওয়া যায়। ৮ থেকে ১০ বছর আগেও ফারাক্কা ব্যারেজের আপ স্ট্রিমের বিহারের সাহেবগঞ্জ, উত্তর প্রদেশের বরাণসী ও এলাহাদের গঙ্গা নদীতেও প্রচুর ইলিশ পাওয়া যেত। এখন আপস্ট্রিমে তেমন ইলিশ পাওয়া যায় না। যেটুকু পাওয়া যায় তা ফারাক্কার ডাউন স্ট্রিমের গঙ্গায়। এ কারণে ইলিশ বড় হতে পারে না। ছোট অবস্থায়ই তা জেলেরা তুলে ফেলেন। এবার উৎপাদন বাড়াতে তিন বছর মেয়াদি গবেষণা পরিকল্পনা নিল সিফরি। সিফরি আরও জানায়, গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু করা হয়েছে এই উদ্যোগের কার্যক্রম। নতুন প্রকল্পে বড় ইলিশ ধরে তাদের ব্রিডিং করানো হবে। তারপর সেখান থেকে উৎপাদিত ইলিশের পোনা ১৭০ গ্রাম থেকে ২৫০ গ্রাম ওজন হলে তা ছাড়া হবে গঙ্গার ডাউন ও আপস্ট্রিমে। এই পোনা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বিহারের সাহেবগঞ্জ, রাজমহল, উত্তর প্রদেশের বরাণসী ও এলাহাদের গঙ্গায়ও ছাড়া হবে। লক্ষ্য একটাই ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো ও বংশবৃদ্ধি করা।
সিফরি সূত্রে আর বলা হয়, এই ডিম পোনা থেকে প্রথম এক বছরে ইলিশ মাছ মাত্র ২০০-২৫০ গ্রাম ওজনের হয়। এক কেজি ওজনের ইলিশ হতে সময় লাগে এক বছর। এ কথাও ঠিক দেরিতে বাড়লে এই ইলিশ সবচেয়ে বেশি ডিম দেয়। একটা ইলিশ ৯ লাখ থেকে ৩০ লাখ পর্যন্ত ডিম দেয়। সিফরির বলছে, তাদের ছাড়া ৩০ হাজার মাছের মধ্যে যদি ৫ শতাংশও বাঁচে তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গঙ্গায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মিলবে।সিফরির পরিচালক বসন্ত কুমার দাস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, গঙ্গায় ইলিশ কমছে। বাংলার মানুষও দিনে দিনে ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মৎস্যজীবীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো এবং ইলিশ রক্ষার জন্য সিফরি এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প কার্যকর থাকবে।