দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌরসভা নির্বাচনে শীত আর করোনাকে উপেক্ষা করে
প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। পোস্টার, মাইকিং, পথসভা ও গণসংযোগসহ চলছে
ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা। কিন্তু সবার দৃষ্টি কেড়েছে একই ওয়ার্ডে
আপন দুই ভাইয়ের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী লড়াই।
হাকিমপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আপন দুই ভাইসহ মোট
পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আপন দুই ভাই
মো. জয়নাল আবেদীন জুয়েল (ব্রিজ মার্কা) ও মো. সোহেল রানা (ডালিম মার্কা)
রয়েছেন।
তবে দুই ভাইয়ের নির্বাচনী লড়াইয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ভোটারদের মাঝে। নানা
প্রতিশ্রুতি নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন
দুই ভাই। প্রচার-প্রচারণায় কেউ পিছিয়ে নেই। কে হবেন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর,
আপন দুই ভাইয়ের কেউ একজন, নাকি অন্য কেউ তা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে
আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন জুয়েল জানান, ছোট ভাই সোহেলকে
বলেছিলাম প্রার্থী না হতে। কিন্তু সে পরিচিতি লাভের জন্য আমার সাথে একই
ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়াই করছে। আমাদের দুই ভাইয়ের মাঝে কোনো
দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।
তিনি আরো জানান, করোনাকালীন আমার ওয়ার্ডে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ
করেছি। মানুষের পাশে সব সময় থেকে তাদের সেবা করার উদ্দ্যেশেই আমার এই
নির্বাচন।
কাউন্সিলর প্রার্থী ছোট ভাই সোহেল রানা জানান, এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা
আছে। সাধারণ ভোটাররা আমাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে আশা জাগিয়েছেন। এই এলাকার
মানুষ শিক্ষিত ও এলাকার উন্নয়ন করতে সাধারণ ভোটাররা আমাকেই নির্বাচিত করবেন
ইনশাল্লাহ। আমি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি,
ভোটারদের সাড়াও পাচ্ছি ভালো।
এদিকে, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন ভোটার বলেন, একই পদে আপন দুই ভাই
নির্বাচন করছে। যে ভাই যোগ্য তাকে নির্বাচিত করবেন তারা। এছাড়াও নির্বাচিত
হওয়ার পর তাদের পাশে সুখে-দুখে থাকবে এমন প্রার্থীকে চাচ্ছেন তারা।
তবে বিপাকে পড়েছেন দুই ভাইয়ের নিকটতম আত্মীয়স্বজনরা। তাদের মধ্যে চলছে
নানা জল্পনা-কল্পনা। দুইজন প্রার্থীই তাদের আপন, কাকে ভোট দেবেন, এ নিয়ে
পড়েছেন তারা বিপাকে।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
হাকিমপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, কাউন্সিলর পদে ৪১ জন এবং সংরক্ষিত
মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।