মন্ত্রীর নির্দেশনায়
বলা হয়, অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিত করার
পাশাপাশি পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করতে কাঁচাপাটের ডিলার ও
আড়তদাররা এক হাজার মণের বেশি কাঁচাপাট এক মাসের বেশি সময় ধরে মজুদ রাখতে
পারবেন না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিতে ইতোমধ্যে পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।বস্ত্র
ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব সাবিনা
ইয়াসমিন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, বাংলাদেশ জুট
স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জাহিদ মিয়াসহ পাট ব্যবসায়ীরা সভায়
উপস্থিত ছিলেন।দস্তগীর গাজী বলেন, “সম্প্রতি দেশে কাঁচাপাটের সঙ্কট
তৈরির কারণে পাটকলগুলো উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্য
থেকে রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে
সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।
“সেজন্য লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাঁচাপাট কেনা-বেচা ও মজুদ করা
থেকে বিরত রাখা; ভেজা পাট কেনা-বেচা বন্ধ করা; বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ
নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে। ”মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাট চাষ নিশ্চিত করতে বীজ সরবরাহের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানসম্মত
পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচবছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়
এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে ।সবকিছু
ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে।
প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না। চলতি পাট মৌসুম
থেকেই রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু হবে। উচ্চফলনশীল পাট বীজ উৎপাদনে
স্বনির্ভরতা অর্জন এবং মানসম্মত পাট উৎপাদনে কৃষকদের সহায়তা দিতে ‘উন্নত
প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ প্রকল্প নিয়েছে
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। দেশের ৪৬ জেলার ২৩০টি উপজেলায় এ প্রকল্প
বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর প্রত্যক্ষভাবে ১ লাখ ৫৩
হাজার পাট চাষী এবং পরোক্ষভাবে ৬ লাখ ১২ হাজার কৃষক ও পরিবারের সদস্য উপকৃত
হচ্ছেন বলে পাট মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৬৬৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৯দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি।