দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও নাট্যকার। নব্বইয়ের দশক থেকে কাজ
করে আসা গুণী এই অভিনেতা সম্প্রতি জিতে নিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
‘সাপলুডু’ চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে পুরস্কার বাগিয়ে নেন
তিনি। সম্প্রতি গল্পের মুখোমুখি হয়েছেন জাহিদ হাসান।
আপনাকে বিভিন্ন চরিত্রে দেখি। কীভাবে রূপায়ন করেন?
এটা আসলে মহান রাব্বুল আলামিনের কৃপা। আর আমি চরিত্র বিশ্লেষণ করি। সবাই
যেভাবে লিখে, আর আমার নিজের জীবনের পর্যবেক্ষণ থেকে, ওই চরিত্রে কী বুঝাতে
চেয়েছে সেটা ভালোভাবে বুঝে গল্পের সঙ্গে মিলিয়ে যেটা দাঁড়ায় সেটা করার
চেষ্টা করি। কতটা হয় তা আমি জানি না।
নায়ক থেকে খলনায়ক। চরিত্রের পরিবর্তন কীভাবে করছেন?
আমি এ নিয়ে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছি। প্রথমবার আমি সেরা
অভিনেতা হয়েছি নায়ক হিসেবে, আর এবার পেয়েছি খল চরিত্রে। আসলে আমি অভিনয়
করতে পছন্দ করি। সামনে যদি আমি কমেডিয়ান হিসেবে, এমনকি যদি শ্রেষ্ঠ নায়িকা
হিসেবেও যদি পুরস্কার পাই অসুবিধা নেই। আসলে আমি বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয়
করে মজা পাই।
‘সাপলুডু’ চলচ্চিত্রে আপনার চরিত্রটি কেমন ছিল?
আসলে শুরু থেকেই বোঝা যায় না এটি যে খল চরিত্র। অন্যান্য সময় হয় কি,
প্রথমেই স্ক্রিনে এসে খল চরিত্র হো হো করে হাসি দেবে। হাসি দিয়ে বোঝা যায়
সে ভিলেন। কিন্তু এ ছবিতে একেবারেই শেষেই বোঝা যায়, এটি ভিলেন চরিত্র।
বিনোদন অঙ্গনের পার্থক্য কেমন দেখছেন?
বেশ পরিবর্তন হয়েছে। এখন অনেকেই শর্টকাট ফর্মে কাজ করছে। জানিনা কেন? তবে শর্টকার্টে সবকিছু হয় না এটা বলতে পারি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
আপনাকেও ধন্যবাদ।