*সংরক্ষণ-প্রয়োগের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
*প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ২ চিকিৎসা কর্মকর্তা
*অন্যদের প্রশিক্ষণ দেবেন তারা
*শুরুতে টীকাদান বুথ হবে সদর হাসপাতাল, কুমেক হাসপাতাল ও সিটি কর্পোরেশনে
চলতি
মাসের বাকি চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই কুমিল্লায় করোনার ভ্যাকসিন আসার
সম্ভাবনা রয়েছে। আর কুমিল্লায় করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণ এবং সরবরাহের জন্যও
সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা.
নিয়াতুজ্জামান। প্রথম দিকে কুমিল্লা সদর হাসপাতাল, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতাল ও সিটি কর্পোরেশনে একটি কওে ভ্যাকসিন বুথ করা হবে। পরবর্তীতে
উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বুথ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য ইতিমধ্যে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ২
জন প্রতিনিধি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন; তারাই পরবর্তীতে জেলার অন্যান্য
টীকাদান কর্মীদের প্রয়োজন অনুসারে প্রশিক্ষণ দেবেন।
জেলা করোনা
প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর কুমিল্লার কাগজকে
বলেন, ‘ভ্যাকসিন আনা এবং সংরক্ষণ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের
প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কুমিল্লায় ভ্যাকসিন এলেই আমরা তালিকা অনুযায়ী
তা প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারবো। এই নিয়ে আশা করি, কোনো ধরনের জটিলতা
সৃষ্টি হবে না।’
এর আগে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও ভ্যাকসিন
ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কুমিল্লা জেলার জন্য ১ লাখ ৩৪ হাজার ১২৫ জনের
ভ্যাকসিনের জন্য চাহিদা উত্থাপন করা হয়। তবে তা সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে
একটি উপকমিটিকে দায়িত্ব দেয় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। ফ্রন্টলাইনারদের
অগ্রাধিকার দিয়ে ওই তালিকা পুনর্বিন্যাসের জন্য কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
১৭ জানুয়ারি সভায় সিদ্ধান্ত হলেও গত এক সপ্তাহেও নতুন তালিকা তৈরি হয়নি বলে
জানান সিভিল সার্জন।
এদিকে কুমিল্লায় ভ্যাকসিন এলে সিভিল সার্জন, জেলা
প্রশাসনের প্রতিনিধি এবং জেলা পুলিশের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি
ভ্যাকসিন কেন্দ্র থেকে গ্রহণ এবং সংরক্ষণের জন্য কাজ করবে বলে জানা গেছে।
সিভিল সার্জন জানান, কুমিল্লা জেলা পর্যায়ে যে ভ্যাকসিন ডব্লিউআইসি (ওয়াক
ইন কুলার) সংরক্ষণাগার আছে তাতে ১০ লাখ ডোজেরও বেশি ভ্যাকসিন রাখা যাবে।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের যে স্টোরেজ আছে, তাতে দুটি ডব্লিউআইসি
স্টোরেজ আছে, যেখানে প্রতিটিতে ১ লাখ ৫০ হাজার করোনা ভ্যাকসিনের ভায়াল
সংরক্ষণ করা যাবে। প্রতিটি ভায়ালে ১০টি করে ভ্যাকসিনের ডোজ থাকে। অর্থাৎ এই
দুটি স্টোরেজে ১০ লাক্ষাধিক ডোজ করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ে আইস লাইন রেফ্রিজারেটরগুলো (আইএলআর) প্রস্তুত করা হচ্ছে,
সেখানেও ভ্যাকসিন রাখা যাবে। জানা গেছে, কুমিল্লায় দুটি ডব্লিউআইসি
স্টোরেজে ৩ লক্ষ ভ্যাকসিন ভায়াল সংরক্ষণ করা যাবে।
সিভিল সার্জন
কার্যালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, কুমিল্লা জেলা থেকে এ পর্যন্ত সিভিল সার্জন
কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তা ভ্যাকসিন প্রদানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
মেডিক্যাল অফিসার অব ডিজিজ কন্ট্রোল এবং মেডিক্যাল অফিসার অব সিভিল সার্জন
পদবির দুজন্য চিকিৎসা কর্মকর্তা টীকা প্রদানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
নির্দেশনা পেলে খুব শিগগিরই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং অন্যান্য টীকা
প্রদানকারী কর্মীদের তারা প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করবেন বলেও জানা গেছে।
সিভিল
সার্জন জানান, ভ্যাকসিন গ্রহিতারা সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ফরম পূরণ করেই
ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। তবে এই নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আলাদাভাবে
এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি।