প্রথম দফায় ছ'দিনের মাথায় বাড়ি ফিরেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পর পাঁচদিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আপাতত পরামর্শ মেনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্টকে বাড়িতে বিশ্রামে থাকতে হবে। কয়েকদিন পর থেকেই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে মৃদু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌরভ। তিনটি হৃদধমনীতে ব্লকেজ পাওয়া গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে দ্রুত অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে একটি স্টেন্ট বসানো হয়েছিল। কয়েকদিন পর সৌরভ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার আবারও বুকে ব্যথা অনুভব করেন সৌরভ। দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আরও দুটি স্টেন্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় মেডিক্যাল টিম। সেইমতো বৃহস্পতিবার দেবী শেঠি এবং অশ্বিন মেহতার তত্ত্বাবধানে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয় সৌরভের। তারপর থেকে ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠেছেন সৌরভ। নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছিল।
তারপর রবিবার সকাল ১০ টা ৫২ মিনিট নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন সৌরভ। হেঁটেই নিজের গাড়িতে ওঠেন তিনি। রওনা দেন বেহালার বাড়ির উদ্দেশে। গাড়ি ছাড়ার পর হাত নাড়িয়ে যান সৌরভ। অ্যাপোলো হাসপাতালের তরফে সৌরভের সঙ্গে কোনও চিকিৎসক যায়নি। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সৌরভের সঙ্গে আছেন চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু এবং সহজ মণ্ডল।
সৌরভ ছুটি পাওয়ার পর অ্যাপোলো হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, একদম ঠিক আছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ফিরছেন তিনি। চিকিৎসক আফতাব খান জানান, হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের দিক থেকে পুরো ফিট আছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করতে পারবেন। আপাতত বাড়ি থেকে কাজ করতে কোনও অসুবিধা নেই। বোর্ডের বৈঠকেও যোগ দিতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে।
তবে আপাতত কয়েকটি বাড়িতে বিশ্রামে থাকতে হবে সৌরভকে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন চিকিৎসকরা। বাড়িতে কড়া নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বছরখানেক খেতে হবে কড়া ডোজের ওষুধ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্ত তরল রাখার এবং কোলেস্টেরলের ওষুধ খেতে হবে। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও সামান্য কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। সঙ্গে কোনওরকম শারীরিক অস্বস্তি এড়িয়ে না যাওয়া এবং নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।