ইউরোপের প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। চ্যান্সেলর মার্কেলের মতে, তার শাসন আমলে সবচেয়ে ক্রাইসিস সময় এটি। সাম্প্রতিককালে কঠোর লকডাউনসহ নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করা সত্ত্বেও দিনে দিনে বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসের নতুন ধাক্কা নিয়েও উদ্বিগ্ন আর উৎকণ্ঠায় শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানি।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে শনিবার থেকে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ব্রাজিল, পর্তুগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভ্রমণকারীদের জার্মানি প্রবেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সরকার।
শুক্রবার প্রকাশিত এক নতুন বিধিমালায় সরকার জানিয়েছে, নতুন ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে এমন দেশ থেকে সকল বিমান, ট্রেন, বাস এবং জাহাজের জন্য পরিবহন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে প্রকাশ পায় জার্মান গণমাধ্যমে।
তবে জার্মানিতে বসবাসের অধিকার রয়েছে এমন ব্যক্তি এবং পণ্য পরিবহন ও জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে বিধিমালায়।
শনিবার এক ভিডিও বার্তায় জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল সকলকে ধৈর্য সহকারে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘যদিও সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, কিন্তু ভাইরাসের নতুন মিউটেশন ছড়িয়ে পড়লে অনেক বড় বিপদের কারণ হতে পারে।’ তাই আগামী কয়েক সপ্তাহ সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২.২ মিলিয়নের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, আর কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ।