কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত শনিবার বিকেল থেকে শুরু করে মারাত্মক শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। রবিবার সকাল থেকে ক্রমেই প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ বেড়ে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, রবিবার সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এটি গতবছর ও চলতি বছরের সবচেয়ে সর্বনিম্ন এবং দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে এ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবহাওয়ার এরকম পরিস্থিতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, ‘মাঘের শীতে বাঘ ডাকে’ প্রবাদটি এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে জেলায়। কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা কুড়িগ্রাম। উত্তরবঙ্গের এ জেলায় এরকম প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবারই প্রথম মানুষজন দেখেছে বলে অনেকেই জানান।
অন্যদিকে,হাড় কাঁপানো শীতে অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে জেলার চরাঞ্চলসমূহে। সাথে রয়েছে ঘন কুয়াশা। রবিবার দুপুরের পর হালকা রোদ দেখা গেলেও তেমন উত্তাপ না থাকায় মানুষের শীতকষ্ট ছিল মারাত্মক। ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছিলেন না অনেকেই। এ অবস্থায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
তাছাড়াও রাতভর কুয়াশায় ঢেকে থাকে গোটা জনপদ চলে পুরো দিন। অত্যধিক শীতকষ্টে রয়েছেন অনেক নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। যারা দিন আনে দিন খান তারা কাজে যেতে না পারায় পরিবার নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। দুঃস্থ ও গরিবদের প্রয়োজন পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ইতোমধ্যেই ৩৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং ৬৩ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে।